স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানি শেষে বিচারক রায় দান করতে যাচ্ছেন। এমন সময় মিটিল, সোহিনী এবং তার মেয়েকে নিয়ে হাজির হয়। মিটিল দাবি করে, শেষ সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সোহিনীকে। অয়নদীপ অভিযোগ তোলে, ভুলভাল তথ্য দিয়ে আদালতের রায়কে বিমুখ করার চেষ্টা করছে এরা।
কমলিনীর উকিল অনুরোধ করেন বিচারকের কাছে, এতকিছু জানার পরে যখন সেই সোহিনী নিজেই উপস্থিত হয়েছে কিছু বলার জন্য, তখন তার কথাটুকু অন্তত শোনা উচিত। বিচারকের নির্দেশে সোহিনী কাঠগড়া এসে দাঁড়ায়, বলে যে মাতৃত্বের টানে মিথ্যে কথা বললেও, এখন আর চুপ করে থাকবে না সে। স্বীকার করে চন্দ্র তাকে মিথ্যে কথা বলে বিয়ে করেছিল। তবে আইনিভাবে নয়, মন্দিরে গিয়ে সামাজিকভাবে বিয়ে হওয়ায় কোনও প্রমাণ নেই তার কাছে।
তবে, প্রমাণ হিসেবে তাদের মেয়ের জন্মের পত্রে চন্দ্রের নাম রয়েছে। মিটিল সেই প্রমাণ আদালতে জমা করে, এরপর সোহিনী আরও বলে যে হঠাৎ একদিন চন্দ্র তাদের ফেলে রেখে চলে আসে পুরনো সংসারে। তারা ফিরে এসে নিজেদের অধিকার দাবি করলে, আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মিথ্যে কথা বলতে বাধ্য করে চন্দ্র। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, সোহিনী চন্দ্রকে স্বামী হিসেবে অস্বীকার করে তখন অন্য জায়গায় চলে যায়।
সোহিনী বিচারকের কাছে অনুরোধ করে, কমলিনীর অনেক ক্ষতি করেছে চন্দ্র। বলতে গেলে সারা জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে, এবার তাকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিয়ে সোহিনীকে চন্দ্রর স্ত্রী হিসেবে মর্যাদা দিক আদালত। অয়নদীপ পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলে সোহিনীর দাবি অবৈ’ধ, কিন্তু বিচারক চূড়ান্ত রায় দান করেন কমলিনীর পক্ষেই। তার সঙ্গে বিচারক এটাও জানান যে, সোহিনী বা কমলিনী চাইলেই চন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতা’রণা এবং অত্যা’চারের মামলা করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ “আমার শরীর, আমার পছন্দ! ছেলেরাও তো রাস্তায় খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায়!”— সমুদ্রতটে বিকিনি ফটোশুটে ঘিরে ফের বিতর্কে অনন্যার উত্তর! “পয়সায় লোভে, ছিঃ নোং’রামির চূড়ান্ত!” “পুরুষমানুষ তো যে কোনও জায়গায় হি’সু করতে পারেন, আমরাও তাই করি এবার! —কটাক্ষে মুখর নেটিজেনরা!
বাড়ি ফিরে আসতেই সোহিনী কমলিনীর কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে বলে, চন্দ্রের সঙ্গে সে সংসার করতে চায়। কমলিনী বলে, একদিন যখন তিনটে সন্তানের বাবা জেনেও সোহিনী তাকে জীবনসঙ্গিনী করেছিল, বিচ্ছেদের কোনও প্রমাণ না দেখেই, তখন থেকে কমলিনী নিজের লড়াই একা লড়ে এসেছে। এবার সোহিনীকেও নিজের লড়াই নিজেকেই লড়তে হবে। চন্দ্রের মা আবার কথা শোনাতে শুরু করেন কমলিনীকে।
রেগে গিয়ে কমলিনী তাঁকে নিজের একমাত্র ঠগ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। এই কথায় চন্দ্র এবার সরাসরি স্বতন্ত্র আর কমলিনীকে প্রতারণার মামলা করার হুশিয়ারি দেয়। বুবলাই আর বর্ষাও যোগ দেয় চন্দ্রের সঙ্গে, বুবলাই জানায় বাবার কথা তার কাছে চিরসত্য। বুবলাই অভিযোগ করে, কুড়ি বছর আগে তাদের মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সহ্য করতে না পেরে, বাবা গৃহত্যাগ করেন।