জগদ্ধাত্রী এবং দুর্গাকে একসঙ্গে দেখলে বোঝা যাবে না যে কে মা ও মেয়ে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে জি বাংলা ‘জগদ্ধাত্রী’ সিরিয়ালে পেরিয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। বড় হয়ে গিয়েছে জগদ্ধাত্রীর মেয়ে। গল্পের শুরুতেই দেখা যাচ্ছে, রাজনাথ মুখার্জি কিছুটা ইচ্ছে করে তাড়াতাড়ি দুর্গাকে সরিয়ে ফেলেছে যাতে আর কোনো বিপদে না হয় কারণ দুর্গাকে মারার জন্য যেভাবে শত্রুরা কোমর বেঁধে লেগে উঠেছে তাই এটা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
কৌশিকী এই কথাটা বুঝতে পেরে জগদ্ধাত্রীকে তিনি বলেন যে রাজনাথ মুখার্জি দুর্গাকে ভীষণ ভালোবাসেন। তাই শত্রুদের হাত থেকে দুর্গাকে বাঁচানোর জন্য একটি মাত্র রাস্তায় খোলা ছিল। আজ যদি জগদ্ধাত্রী সুস্থ থাকত তাহলে তার বাচ্চার গায়ে হাত দেওয়ার কারোর সাহস হত না, বললেন কৌশিকী। এই সময় কৌশিকি আরো বলে ওঠেন, “আমি আর রাজনাথ মুখার্জি আছি তোমার বাচ্চাকে রক্ষা করার জন্য, তুমি একদমই ভয় পাবেনা”। অন্য দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে সকাল বেলা রাজনাথ মুখার্জি অনাথ আশ্রমে গিয়ে দেখে কালবোস মামা দুর্গাকে গান শোনাচ্ছে। এই সময় কালবোস মামা বলে, “দুর্গা খুব ভালো মেয়ে ও একদম কান্নাকাটি করে না”।
এই মমতাময় দৃশ্য দেখে রাজনাথ মুখার্জি চোখ থেকে জল পড়তে থাকে আর বলে “কোন বাড়ির মেয়ে কোথায় বড় হচ্ছে”। ভাবেন মুখার্জি বাড়ির মেয়ে রয়েছে অনাথ আশ্রমে এবং মনে মনে ভাবেন ” কি করবো বল দিদিভাই, তোকে বাঁচানোর জন্য এখানে রাখা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না”। আবার এই পুরো দৃশ্যটা কৌশিকী দেখতে পায় এবং ভাবেন দুর্গা কালবোস মামার কাছে বড় হচ্ছে। রাজনাথ মুখার্জির সঙ্গে কৌশিকীর ভাবনাও মিলে যায়।
কৌশিকী বলে, কাকুমনি জানে তুমি কতটা বুকে পাথর চাপা রেখেই কাজটা করেছো, তুমি যা করেছ ভালোর জন্যই করেছো। কৌশিকী জগদ্ধাত্রী উদ্দেশ্য বলে, তোমার বাচ্চার ভালোর সমস্ত দায়িত্ব তাঁর এই আশ্বাস দিল। কৌশিকী অনাথ আশ্রমে গিয়ে একটি ব্যাট এবং একটা চিঠি লিখে দিয়ে চলে আসে। একটি বাচ্চা দেখতে পায় এবং কালবোস মামাকে বিয়ে দেয়। সেই চিঠিটিতে লেখা আছে, “এই বাচ্চাটির যা প্রয়োজন তা সবই এই ব্যাগে রয়েছে”।
আরও পড়ুনঃ গৌরব-দেবা দুই ভাই! অবশেষে আঁখির সামনে বিরাট সত্যি, প্রিয়রঞ্জনের ছেলেই দেবা, আসল সত্যি জেনে গেল সে
চিঠিটি পড়ার পর কালোসোনা বুঝতে পারে এ কোন বড়লোক বাড়ির মেয়ে এমনকি কোন বাড়ির মেয়ে সেটাও বুঝতে পারে। অন্যদিকে দেখতে পাওয়া যায় মেহেন্দি জগদ্ধাত্রীকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে কিরে তোর এইরকম জীবন কি রকম লাগছে কাটাতে? খুব পিছনে লাগছিস, আজ তুই কি নিজে শাস্তি ভোগ করছিস সেটা দেখ। এই ধরনের কথা বলতে বলতে উৎসবও চলে এসে এবং সেও একই ধরনের কথা বলতে থাকে। জগদ্ধাত্রির বাচ্চাকে খুঁজে পাবার নানান ফন্দি করতে থাকে মেহেন্দি এবং উৎসব। অন্যদিকে বৈদেহী মুখার্জির সঙ্গে স্বয়ম্ভু কথা বলতে থাকে এবং বলে সে তার বাচ্চাকে হারিয়ে ফেলেছে তার চিন্তা হচ্ছে। এরপর বৈদেহী মুখার্জি, মেহেন্দি এবং উৎসব মিলে পরিকল্পনা করতে থাকে কিভাবে বাচ্চাটিকে খুঁজে পাওয়া যায়।