নিউইয়র্কে পাকাপাকিভাবে বাস করবে মোহনা! এদিকে, স্টোরে আদিকে সারপ্রাইজ দিতে হাজির শুভ! তবে, কী এখানেও আদি-মোহনাকে একসঙ্গে দেখে ভুল বুঝবে শুভলক্ষী?

শুভ-আদি, নানা ঝামেলার কারণে একে অপরের থেকে দূরত্ব তৈরি হলেও মনের থেকে ভালোবাসা একটুও কমেনি। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিক আজকের পর্বে দেখা যাবে, সমিতের জন্য সেবন্তীরা কেনাকাটা করতে গিয়ে বাড়ি ফেরার সময় শুভ এবং আদি একসঙ্গে গাড়িতে ফিরে যাতে তারা একান্ত একটু সময় কাটাতে পারে এবং ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে পারে।

এমন সময় গাড়ি করে বাড়ি ফেরার পথে শুভ আদি একে অপরকে বলতে থাকে তারা বেকারই উনাকে নিয়ে ভাবছে। মোহনা কেবলই বন্ধু, বলে আদি। এর সঙ্গে এটাও বলে, শুভ যখন কোনো ভুল কাজ করে তার জন্য সব থেকে বেশি দুঃখ পায় আদি। অপর প্রান্তে শুভ বলে, অকারণে আদি তাকে ভুল বুঝলে সেও খুব কষ্ট পায়। এরপর কথা বলতে বলতে ফোন চলে আসে মোহনার।

Grihoprobesh, Star jalsha, shubhlakshmi, subha-adrit, Akash Sen, Mr. Sen, Mohona, new episode, গৃহপ্রবেশ, স্টার জলসা, শুভলক্ষ্মী, শুভ-আদৃত, আকাশ সেন, মিস্টার সেন, মোহনা, নতুন পর্ব, বাংলা সিরিয়াল

আদি প্রথমে মোহনার ফোন ধরতে না চাইলেও পরে তবু তার ফোনটা ধরে। এরপর মোহনা বারে বারে আদি সঙ্গে দেখাবো কথা বলতে চায়। এরপর রাতের বেলা ঘুমানোর সময় শুভ আদিকে নিয়ে ভুলভাল স্বপ্ন দেখে। আর এই স্বপ্নের জেরেই তার মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। স্বপ্নে দেখে আদি শুধু কে বলছে মোহনা তাকে ভালবাসে এবং আদিও নাকি মোহনাকে ভালোবাসে।

এরপর পরের দিন সকাল হতেই খুশি মনে শুভ ব্রেকফাস্ট তৈরি করে আদির জন্য। কিন্তু, স্টোরে যাওয়ার তাড়াহুড়োর জন্য আদি-সমিত না খেয়েই বেরিয়ে যায়। এরপর, আদি স্টোরে গিয়ে আকাশের থেকে জানতে পারে তাদের যে টেন্ডার পাওয়ার কথা ছিল তা তারা পায়নি। পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সেই টেন্ডারটা পেয়েছে জিনিয়াদের কোম্পানি।

এরপর জিনিয়ায় নিজে থেকেই স্টোরে এসে তাদেরকে বলে একটা ছোট্ট ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তাই টেন্ডারটা তাদেরকে ফিরিয়ে দেবে। এমন সময় রমিত স্টোরে বসে ভাবে, জিনিয়া কি করে এই টেন্ডারের কথা জানতে পারল?

অন্যদিকে আবার, শুভলক্ষ্মীর মন খারাপ হয়ে রয়েছে কারণ, আদি আজ সকালে খেয়ে যায়নি। শুভ পরিকল্পনা করেছে, দুপুরের খাবার বানিয়ে নিয়ে সেই স্টোরে যাবে আর একসঙ্গে বসে লাঞ্চ করবে। এতে, তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি কিন্তু কিছুটা হলেও মিটবে। এরপর দেখা যায় ডোনা টেন্ডারের গল্পটা বলছে শুভকে। আর, এই শুনে পুরো বীর হবু বৌমার ওপরে খুবই গর্ব হতে থাকে। এরপর, শুভ ডোনাকে অনুরোধ করে একটু হলেও সে যেন রান্না ঘরে গিয়ে সংসারের কাজকর্ম দেখে।

আরও পড়ুনঃ ” হাত ধরে আমি প্রথম ছবিতে নিয়ে এসেছিলাম। মেয়ের মতোই ছিল, কিন্তু এখন আর আমার খোঁজটুকুও রাখে না।”—বাংলা সিনেমার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে নিয়ে একদা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অনামিকা সাহা!

শুধু শুভ অনুরোধ করেছে বলে ডোনা তার কথা রাখতে রাজি হয়েছে। অন্যদিকে আবার দেখা যায় আদি স্টোরে বসে শুভর কথা ভাবছি সেও মনে মনে প্ল্যান করে বাড়িতে গিয়ে দুপুরের লাঞ্চ একসঙ্গে করবে আর তার সমস্ত রাগ ভেঙে দেবে। স্টোর থেকে বেরোনোর সময়তেই এসে পরে মোহনা। এরপর ষ্টোরের বাইরে গিয়ে মোহনা আদিকে বলে, সে পাকাপাকিভাবে নিউইয়র্ক এ থাকতে চাই কারণ ও কলকাতাতে থাকলেও তার মাথা থাকবে ওখানে আর মন থাকবে এখানে। আর মোহনা এমনিতেও আদিকে খুব ভালোবাসে। এই কথা শোনা মাত্রই আদি প্রচন্ড রেগে যায় আর মোহনাকে বলে সে একজন কারোর স্বামী কারোর বাবা। কিন্তু নাছোড়বান্দা মোহনা কেবলই বলতে থাকি সেই আদিকে খুব ভালোবাসে। এদিকে, স্টোরে এসে হাজির হয়েছে শুভ।