স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’-র (Chiroshokha) গল্পে এসেছে নতুন মোড়। আর তাই নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ এতটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে যে, জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্কের! সাম্প্রতিক পর্বে চন্দ্র-সোহিনীর আসল রূপ দেখানোর চেষ্টা চলছে। দু’জনে মিলে নাকি মেঘালয়ের কামারখোলা অঞ্চলে নারী পা’চারের চক্র চালাত। কাজের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের পাচার করত তারা, আর এই কাজে তাদের আরও দু’জন সহযোগী ছিল। ইতিমধ্যেই পুলিশ সেই সহযোগীদের গ্রেপ্তার করেছে, তবে চন্দ্র ও সোহিনী এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে।
আরও বলা হয়, বহুদিন ধরে কামারখোলার মানুষকে প্রতারিত করেও তারা স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করেছিল। নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা সমাজের সঙ্গে মিশে যায়। কিন্তু আসলে তারা প্রকৃত দম্পতি নয়। এই ঘটনার পাশাপাশি বড় চমক হিসেবে উঠে আসে যে, সোহালিয়া আসলে চন্দ্র ও সোহিনীর সন্তান নাও হতে পারে। গল্পের এই মোড় ঘিরেই দর্শকের মনে নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, আগে চন্দ্রের অতীত নিয়ে যা বলা হয়েছিল, তার সঙ্গে এর কোন মিল নেই।
এর আগেই গল্পে আরেকটি মোড়ে চন্দ্র দাবি করেছিল যে, সে এতদিন স্মৃতিশক্তি হারানোর কারণে বাড়ি ফিরতে পারেনি। হঠাৎ স্মৃতি ফিরে আসার পর আবার সে কমলিনীর সংসারে ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়, কারণ সোহিনী সোহালিয়াকে নিয়ে হাজির হয় এবং জানায় চন্দ্র আসলে তার সঙ্গেই দ্বিতীয় সংসার পেতেছিল। শুধু তাই নয়, সোহিনীর দাবি অনুযায়ী বাবার টাকার লোভেই তাকে বিয়ে করেছিল চন্দ্র এবং পরবর্তীতে আর্থিক সংকটে পড়ে কলকাতায় পালিয়ে আসে।
ফল স্বরূপ চন্দ্র-কমলিনীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা হয়। যদিও চন্দ্র বারবার চেষ্টা করেছিল নিজের পক্ষ শক্ত করতে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোহিনীর সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে তার বিপক্ষেই যায়। এর ফলে মামলায় জয়ী হন কমলিনী। দর্শকরা লক্ষ্য করেন, কমলিনীকে মহান দেখাতে সোহিনীর চরিত্রকে ধীরে ধীরে একেবারেই নেতিবাচক করে তোলা হচ্ছে। দর্শকদের কথায় লেখিকা প্রধান চরিত্রকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে, যেমন করে গল্প লিখছেন তা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য বা যৌক্তিক নয়! এই মুহূর্তে সমাজ মাধ্যমে নানারকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে।
কেউ লিখেছেন, “চন্দ্র একজন ইনকাম ট্যাক্স অফিসার প্রথমে নিজের বিবাহিত জীবন ছেড়ে অন্য মহিলাকে বিয়ে করলো তার বাবার টাকার জন্য। তারপর আবার নিজের পুরোনো বউয়ের কাছে ফিরে এলো বন্ধুর গিফট্ করা বাড়ির লোভে। তারপর সে নারী পাচার চক্রের পান্ডা হয়ে গেলো? কমোলিনী দেবীর দেবিত্ব প্রমাণ করার জন্য এতো ফালতু কাহিনী লেখার সত্যিই দরকার ছিলো? এছাড়াও চন্দ্র , বুবলাই, বর্ষা, অনন্যা, রশ্মি, সোহিনী, মিঠিকে নেগেটিভ দেখাতে গিয়ে হাস্যকর রকমের অদ্ভুত দেখানো হচ্ছে।” অন্যজনের প্রশ্ন, “যিনি এই সিরিয়ালের গল্পটা লিখতেন তিনি কি কাজ ছেড়ে দিয়েছেন?
প্রথমে বলল চন্দ্র পালিয়েছিল মেঘালয়ে তারপরে এলো আসাম থেকে, আজকে শুনলাম কামারখোলা নাকি মেঘালয়ে কিন্তু কামারখোলা তো পশ্চিমবঙ্গের হাওড়াতে! মেঘালয়ে কামারখোলা বলে কোনও গ্রাম বা শহর কিছুই নেই, আগের কাহিনীর সাথে এখনের কোনো মিলই নেই মনে হাসতে হাসতে এবার পেট ব্যথা হয়ে যাবে!” অধিকাংশ মানুষের কথা, “আমরা কি ঘাসে মুখ দিয়ে চলি, যে যেটাই খাওয়াবে লেখিকা খেয়ে নেবো? গল্পের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে, চরিত্র দের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে!” সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠছে— এমন জোড়াতালি দেওয়া গল্প কি সত্যিই দর্শকের বিশ্বাস ধরে রাখতে পারবে তো?
আরও পড়ুনঃ “আমার মেয়েকে গয়না খুলে দিয়ে বের করে দেব না!” “আ’ত্মহ’ত্যার হু’মকি দেব না, দাদুর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে!”— মায়ের বিরুদ্ধে বি’স্ফো’রক তোপ অহনার! নেটিজেনদের কটা’ক্ষে মায়ের সঙ্গে অতীত সম্পর্ক টেনে এনে কড়া জবাব দিলেন অভিনেত্রী!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।