টিআরপিতে নাই বা হোক, দর্শক মনে দাগ কাটছে ‘চিরসখা’র গল্প! কমলিনী-স্বতন্ত্রর ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনার শেষ নেই! গল্পে কি এরপর কমলিনী-স্বতন্ত্রর বিয়ে হবে? কী জানলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়?

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় শাশুড়ি-বৌমার সংঘাত, বা প্রেমের মোড়া গল্প দর্শকদের কাছে নতুন নয়। কিন্তু সেই চেনা ছকের বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টাই করছেন চিত্রনাট্যকার ‘লীনা গঙ্গোপাধ্যায়’ (Leena Ganguly)। তাঁর কলমে লেখা ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) ধারাবাহিক, ঠিক সেই প্রচলিত ধারার বিপরীতে দাঁড়িয়ে। এখানে প্রেম নেই, লড়াই নেই, আছে এক অনন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক।

এই গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন নতুন ঠাকুরপো স্বতন্ত্র আর বৌঠান কমলিনী, যাঁদের সম্পর্ক বন্ধুত্বের অথচ সমাজের চোখে অদ্ভুত। ‘চিরসখা’ হয়তো টিআরপি তালিকায় শীর্ষে নেই, তবে দর্শকদের কৌতূহল একেবারে তুঙ্গে। বিশেষ করে স্বতন্ত্র-কমলিনীর সম্পর্ক ভবিষ্যতে কোন দিকে এগোবে, তা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে চলে অনেক আলোচনা। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এই বন্ধুত্ব কি আদতে প্রেমের রূপ নেবে?

 

এদিন এইসব প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর দিয়েছেন লেখিকা নিজেই। লীনার বক্তব্য, গল্পের গতি কখনও কখনও লেখকদের হাতের বাইরেও চলে যায়। প্রতিটি চরিত্র নিজের মতো করে এগোয়, আর সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে গল্পকেও এগোতে হয়। তবে সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে লেখিকা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, স্বতন্ত্র ও কমলিনীর মধ্যে কোনও প্রেম বা বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেই এই মুহূর্তে।

দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা এক গভীর বন্ধুত্বই এই ধারাবাহিকের মূল বিষয়। দর্শকের সামনে বন্ধুত্বের এমন রূপ খুব কমই এসেছে, যেখানে বয়স আর সম্পর্কের সংজ্ঞা কিংবা সামাজিক বাঁধার বাইরেও একটি সহজ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ধারাবাহিক ‘চিরসখা’র আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কমলিনীর সম্পর্ক। বিশেষ করে মায়ের সঙ্গে সন্তানদের আবেগের টানাপড়েন তুলে ধরা হয়েছে দারুণভাবে।

আরও পড়ুনঃ টিআরপির লড়াইয়ে ফের শীর্ষে ‘পরশুরাম’! দ্বিতীয় স্থান ভাগাভাগি করল ‘পরিণীতা’! সেরা পাঁচে প্রবেশের পরেই ‘গৃহপ্রবেশ’-এর পতন! কমলো ‘সরোজিনী’র রেটিংও!

বড় ছেলে বুবলাইয়ের ব্যবহারে লুকিয়ে থাকা অহংকার ও দূরত্ব কি ভবিষ্যতে মায়ের প্রতি অনুশোচনায় পরিণত হবে? আর বৌমা বর্ষা কি কমলিনীকে বুঝতে পারবে কখনও? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতেই দর্শক এখনও অপেক্ষায়। শেষমেশ একটা কথাই বলা যায়, ‘চিরসখা’ শুধু একটি ধারাবাহিক নয়, এটি সামাজিক চিত্র। যেখানে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা মানেই শুধু কর্তব্য বা প্রেম নয়, বরং একে অপরের সঙ্গে বোঝাপড়া আর পাশে থাকা।