বলিউডের শাহেনশা তিনি। আর তাঁর স্ত্রী অবশ্যই রানী। তাঁরা হলেন অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন। গোটা বিশ্বে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা এই দুই ব্যক্তিত্বের নাম জানে না। শুধু বলিউড নয়, গোটা বিশ্বকে নিজেদের অভিনয় যাদুতে মাতিয়ে রেখেছেন এই দুই অভিনেতা এবং অভিনেত্রী।
তবে আজ দুজনের কাজ নয় ব্যক্তিগত জীবনের একটি বিশেষ তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে এলাম। বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হয় অমিতাভ বচ্চন নাকি কলকাতার জামাই বাবু, কলকাতাতেই নাকি তাঁর শ্বশুর বাড়ি অর্থাৎ জয়া বচ্চনের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু আসলে কি এটা সত্যি?
না, বিষয়টা এমনটা নয়। এটা সর্বৈব ভুল তথ্য। জয় বচ্চন কলকাতা নয়, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিয়ের পর জয়া বচ্চন হলেও আগে জয়া ভাদুড়ি ছিলেন। তাঁর আদি বাড়ি ছিল ওপার বাংলার নেত্রকোনায়।
ঢাকা শহর থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দূরে নেত্রকোনার পূর্বধলায় আদতে একটি গ্রাম। এখনো সেই বাড়ির কিছু অংশ রয়ে গেছে। এই গ্রামেই জন্ম হয়েছিল জয়ার বাবা এবং সেই সময়কার প্রখ্যাত সাংবাদিক তরুণ ভাদুড়ির।
দেশ ভাগের পর ১৯৪৭-এ তাঁরা প্রথমে কলকাতায় পরে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে স্থায়ী বাসস্থান গড়ে তোলেন। তবে জয়া বচ্চনের দাদা সুধীর ভাদুড়ি নাকি এ বাংলায় ফিরে আসেননি। তিনি থেকে গেছিলেন ময়মনসিংহে। অবশেষে সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর।
নেত্রকোনার বাড়িটি ভঙ্গুর হয় গেলেও দখল করেনি কেউ এখনো। একতলা সাদা বড়-বড় পিলার দেওয়া বাড়ি রয়েছে। তার সামনে মস্ত বাগান, সেখানে আম, জাম, নারকেল বা লিচুর গাছ রয়েছে যেখানে এখনো ভালোমতো ফলন হয়। বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে একটি হিন্দু পরিবার।
মাঝে মধ্যে ভাদুড়িদের কোনও আত্মীয় এলে এদের বাড়িতেই থাকা বা খাওয়া-দাওয়া করে থাকেন তাঁরা। তবুও ওই হিন্দু পরিবারের মনে একটা আক্ষেপ রয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকার, ভারতের বিখ্যাত বচ্চন পরিবারের সঙ্গে যুক্ত বাড়িটি হেরিটেজ ঘোষণা করলেও সেখানে এখনো অবধি একবারের জন্য পা রাখেননি জয়া বচ্চন বা অমিতাভ বচ্চন।
ওই পরিবারটি দাবি করেছে অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের তো এখন বয়স হয়েছে। তাই পৈত্রিক বাড়ি দেখার ইচ্ছে একবার না একবার তো হয় মানুষের। বাংলাদেশে জয়া এসেছেন কয়েকবার কিন্তু নেত্রকোনায় কখনোই নাকি যাননি তিনি। কিন্তু একদিন না একদিন হয়তো বাড়ির কন্যার পায়ের ছাপ নিশ্চয়ই পড়বে বাড়িতে, এমনটাই আশা রয়েছে তাদের।