বলিউডের (Bollywood) বর্ষীয়ান সেলেবদের তালিকায় প্রথম দিকে নাম আসে অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থীর (Ashish Vidyarthi)। বিভিন্ন ভাষায় একাধিক সিনেমায় তাঁর মত গুণী অভিনেতার দেখা মেলা দুষ্কর। নিজের চেহারা কিংবা বয়স নিয়ে কখনই ছুঁৎমার্গ করেননি অভিনেতা। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অনেকেই তাঁর চেহারার রং তুলে ‘কালুয়া’ বলে ডাকে। কিন্তু এই ডাকে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই বর্ষীয়ান অভিনেতার।
হিন্দি ছবির পরিচিত মুখ! মূলত ভিলেন চরিত্রে নজর কাড়েন আশিষ বিদ্যার্থী
বলিউডের একাধিক হিট সিনেমায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। মূলত ভিলেন চরিত্রে নজর কাড়েন আশিষ বিদ্যার্থী। বিভিন্ন ছবিতে কাজ করে আজ তিনি নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত। একটি রিপোর্ট বলছে তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮২ কোটি। এক একটি ছবির জন্য ২৫ লক্ষ টাকার বেশি পারিশ্রমিক নেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সব মিলিয়ে তিনি এখন বলি পাড়ার শক্তসমর্থ মানুষ।
বছর ষাটের কোঠায় পা রেখেও মনে অফুরান বসন্ত অভিনেতার। গতবছর আশীষ বিদ্যার্থীর বিয়ে চারিদিকে শোরগোল ফেলে দেয়। যদিওখোশমেজাজে ছিলেন অভিনেতা। পঞ্চাশ বছর বয়সী অসমীয়া কন্যা রূপালির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আশিষ। আনন্দ করেই সারেন মালাবদল। দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি।
ছোটবেলায় কেন ‘কালুয়া’ নামে কটাক্ষ করা হত অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থীকে? কী বলছেন অভিনেতা?
সমাজের কোন কিছু নেই তেমনভাবে ভাবতে রাজি নন অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী। প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ছোটবেলায় সবার বাড়িতেই চেহারা নিয়ে ভালো-মন্দ আলোচনা চলে। তাঁর বাড়িতেও মা তাঁকে চেহারার কারণে বিশেষ নামে ডাকত। ধীরে ধীরে তিনি যখন বড় হয়ে উঠলেন তখন বুঝতে পারলেন সমাজেও তাঁকে গায়ের রং এর সঙ্গে বিচার করে ‘কালুয়া’ ডাকা হচ্ছে!
আরও পড়ুন: ঠাম্মির বুদ্ধিতে বাজিমাত করল ‘অষ্টমী’! চ্যালেঞ্জে পাশ করে পুরুষোত্তমকে সঠিক জবাব দেবে সে
তবে এগুলো নিয়ে তিনি ভাবেননি কখনও, সমস্ত ডাকই মেনে নিয়েছেন হাসিমুখে। আশিষ বলেন, নিজেকে নিয়ে হতাশ হওয়া বন্ধ করতে হবে। এত সময় কারোর কাছে নেই! সে মানুষ যা খুশি বলে ডাকুক, সন্তুষ্ট থাকতে হবে নিজের দিক থেকে। আর এই ব্যাপারে একেবারেই সিদ্ধহস্ত অভিনেতা। লোকে তাঁকে ‘কালুয়া’ ডাকলেও বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই তাঁর।