তিনি ছিলেন বাংলা তথা ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম বড় তারকা। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় কান্ডারী ছিলেন তিনি। এছাড়াও বহু ফিউশন এবং বলিউড এবং টলিউডের ছবিতেও গান গেয়েছেন এই শিল্পী। গত ২২শে নভেম্বর থেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। অবশেষে হেরে গেলেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন এই তারকা। চিকিৎসায় বেশ ভালো রকমের সাড়া দিচ্ছিলে তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই ব্রেন স্ট্রোক হয় তারকার। আর মাত্র ৫৬ বছর বয়সেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। এতদিন যাবৎ তারকার শারীরিক অবনতির খবর শুনে বেশ উৎকণ্ঠায় ছিলেন ভক্তরা। আর তার মৃত্যুর খবরে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন সবাই।
মারণ রোগ ক্যান্সার আগে থেকেই ছিল। এরই মধ্যে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন সংগীতশিল্পী। বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রশিদ খান। সেখানেই সংক্রমণ হয়। আর তাই ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় গায়ককে। আর সেখানেই আজ ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, রশিদ খানকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন মেডিসিন ও চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল। তাকে দেখছিলেন এক বিশিষ্ট স্নায়ুচিকিৎসক। কিন্তু সবার প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেই অন্য সুরলোকে যাত্রা করলেন রশিদ খান। উস্তাদ রশিদ খানের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। একেবারে ছোটবেলা থেকেই তিনি বেরে উঠেছে সঙ্গীত পরিবারে। উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাগ্নে ছিলেন তিনি।
হিন্দি সিনেমা ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘যব উই মেট’, ‘কিসনা’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘রাজ ৩’-র মতো বলিউড ছবির পাশাপাশি ‘মিতিন মাসি’, ‘বাপি বাড়ি যা’, ‘কাদম্বরী’-র মতো বাংলা সিনেমাতেও কাজ করেছেন তিনি।