সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেই সংবাদটি পুরোপুরি মুছে যাওয়ার আগে বিবাহের সংবাদ দিলেন কাঞ্চন মল্লিক। পাত্রী তার বান্ধবী অভিনেত্রী শ্রীময়ী। সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়ে সম্প্রতি আইনি বিবাহের কথা জানিয়েছেন টলিপাড়ার এই নতুন জুটি। তবে এবার শুধু অপেক্ষা অগ্নি সাক্ষী করে সাত পাকে বাঁধার। বিয়ের তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।
তিনি তার মাঝেই বিধায়ক অভিনেতা স্বামী কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে সংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিলেন অভিনেত্রী স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। জনসম্মুখে জানিয়েছে তার স্বামীর সমস্ত দোষগুণাবলী। জানিয়েছে স্বামী কোন জিনিসটি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন তিনি? সে প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানিয়েছেন “ওর সবচেয়ে বেশি যেটা ভালোলাগে সেটা হচ্ছে ও খুব যত্নশীল। ওর মধ্যে একটা বাবা সুলোভ (ফাদারলি) ব্যাপার রয়েছে যেটা আমার খুব ভালো লাগে। আরও একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে ও খুব গোছাল।”
“ও খুবই পরিপাটি আমরা হয়তো কোথাও ঘুরতে গেলাম। আমার হয়তো জানা এখানে পড়ে আছে, ট্রোলিটা ওখানে পরে আছে, আর একটা জিনিস হয়তো অন্যত্র কিন্তু সবটাই খুব গুছিয়ে রাখে। বাড়িঘরও খুব টিপটপ হয়তো পরিচারিকাদের দিয়েই করায় কিন্তু ও সব কিছুরই খেয়াল রাখে। ও এসব ক্ষেত্রে খুব দক্ষ। সেটা আমার সত্যিই খুব ভালো লাগে।” জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
তিনি বলেন “ওর কিছু দোষ রয়েছে। যেমন ও কাজের ক্ষেত্রে খুব সচেতন এবং খুব সময় মেনে চলে কিন্তু খাওয়া দাওয়াতে খুবই অসচেতন। ও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে একেবারেই সচেতন নয়। কিছুদিন আগেই ও প্রেসার ফল করে মাথা ঘুরে পড়ে গেছিল বাড়িতে।” তিনি বলেছেন স্বামী কাঞ্চনের এই জিনিসগুলি একদমই পছন্দ করেন না তিনি।
এছাড়াও স্ত্রী শ্রীময়ীর কাঞ্চন মল্লিকের কোন গুনটা আপনার খারাপ লাগে সেই প্রশ্ন শুনে তিনি তাড়াতাড়ি করে উত্তরে দিলেন “ও হল ইমোশনাল ফুল। আরও একটা বিষয় ওর ব্যাপারে হচ্ছে ও খুবই মুখচোরা, খুবই লাজুক স্বভাবের। ও কোনও কথায় মুখের ওপর বলে না। কাউকে বা কিছু ভালো লাগলেও মুখের ওপর বলে না খারাপ লাগলেও মুখের ওপর বলে না।”
তিনি এও বলেন “ও আসলে বাইরের জগৎটাকে বিশেষ ভালোবাসে না। বেশি পার্টি করতেও ভালোবাসেনা। ও বাড়িতে থাকতেই বেশি ভালোবাসে। বই পড়তে এবং ওয়েব সিরিজ দেখতেই ওর ভালো লাগে।” তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি চান তার জীবনে আসার পর তার স্বামীর কুঁড়েমি, ল্যাদ খাওয়া এবং ঘুমানো কমাতে চান তিনি। অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চন নাকি দাড়িয়ে দাঁড়িয়েও ঘুমাতে পারেন। তবে তাদের আগামী জীবনের জন্য রইল শুভেচ্ছা।