বিনোদনদরিয়ার পাশাপাশি সমান্তরালে গোপনে আরও একটা দুনিয়া চলে আর সেটা হল নী’ল ছ’বির দুনিয়া। ইংরেজিতে তাকে বলা হয় ব্লু ফি’ল্ম। আজকের নয় বহুদিন ধরে যবে থেকে গ্ল্যামার দুনিয়া শুরু হয়েছে তবে থেকেই পাশাপাশি এই দুনিয়া চলছে তবে বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌড়াতে ইন্টারনেটের যুগে এই বিষয়ে আরো বেশি করে আলোকপাত করা হয়েছে সমাজের মধ্যে।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লাগাতার একজন প’র্ন তারকা হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন মিয়া খলিফা। তাকে চেনেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। লাগাতার এতগুলো বছর কাজ করার পর একসময় তিনি নিজেই হাঁপিয়ে উঠেছিলেন এবং ধীরে ধীরে সরে এসেছেন এই পেশা থেকে। কাজ শুরু করার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই মিয়া হয়ে উঠেছিলেন এই দুনিয়ার সাম্রাজ্ঞী। এই দুনিয়ার অন্যতম প্রথম শাড়ির তারকা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তৈরি হয়েছিল হাজার হাজার বিতর্ক।
সব থেকে বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ইসলামিক জগতে। রক্ষণশীল ইসলামপন্থী মানুষেরা মিয়ার যৌ’ন স’ঙ্গ’মের দৃশ্যগুলি নিয়ে প্রকাশ্যে ঘোরতর আন্দোলন বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। সেই সময় এই তারকার জীবনে এসেছিল মানসিক অবসাদ। এমনকি পরিবারের সদস্যরাও সম্পর্ক ত্যাগ করে দিয়েছিল।
বর্তমানে এই তারকা ওই দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসে স্পোর্টস কমেন্ট্রি এবং সঞ্চালনা করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্লাটফর্মে লাইভ স্ট্রিম করে থাকেন তিনি যেগুলি থেকে উপার্জন করতে পারেন। এমনই একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন এবং নিজের বক্তব্য পেশ করে থাকেন মিয়া। সম্প্রতি নিজের পুরনো জগত অর্থাৎ ব্লু ফি’ল্ম নিয়ে বেশ কিছু অজানা বিষয় তুলে ধরলেন।
মিয়া মনে করেন যেহেতু এটা একটা পেশা তাই এতেও কিছু সম্প্রতিক পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এই দুনিয়ায় থাকার সুবাদে তিনি জানেন বহু কম বয়সী ছেলে মেয়েরা রয়েছে যারা শুধুমাত্র টাকা পয়সা উপার্জনের জন্য এই দুনিয়ায় যুক্ত হয়। হয়তো তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার আগেই জ্ঞানে অজ্ঞানে নী’ল ছবির তারকা হয়ে ওঠে। ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও হয় তাদের। এদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি।
এই নিয়ে মিয়া জানিয়েছেন এই পেশায় কাজ করতে এলে মেয়েদের বয়স অন্তত ২১ বছর হওয়া উচিত। শারীরিকভাবে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত প’র্ন তারকা হওয়া উচিত নয়। তবে মিয়া জানেন এই দুনিয়া নিজস্ব নিয়ম মেনেই চলে তাই সহজে তা বদলানোর নয়।