“আমি ‘ছাউ’ শুনে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললাম!” “বাংলা সিনেমা করে রোজগার, অথচ বাংলা বলতে সমস্যা!” “ছৌ বলতে কি মান-সম্মান যাচ্ছে? অশিক্ষিত কোথাকার, বেশি ন্যাকা!”— ‘ছৌ’-নাচকে ‘ছাউ’ উচ্চারণ বিতর্কে ট্রোলের মুখে পড়লেন ইধিকা পাল!

গত মাসের ১৯ তারিখ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সোহম চক্রবর্তী এবং ‘ইধিকা পাল’ (Idhika Paul) অভিনীত সাইকোলজিকাল থ্রিলার ‘বহুরূপ’ (Bahurup)। ছবির মুখ্য চরিত্রের সোহম, যে একাধারে অভিনেতা এবং রহস্যময় খু’নিও। চরিত্রটি বিভিন্ন রূপ ধারণ করে শহরে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে খু’ন করে চলেছে, তাঁর নাম ‘অভিমন্যু’। অপরদিকে মুখ্য নারী চরিত্রে রয়েছেন ইধিকা পাল, সেও অভিনেত্রী এবং অভিমন্যুর প্রেমিকা। তাঁর চরিত্রের নাম ‘উত্তরা’। যদিও ছবিটি তেমন দাগ কাটতে পারেনি দর্শকমনে।

তবুও অভিনেত্রী ইধিকা পাল কিন্তু এই মুহূর্তে বহুরূপ ছবির জন্যই সমাজ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল। বরং বলা ভালো, ছবিতে তাঁর করা ‘ছৌ’ নাচের জন্য! আসলে ট্রেলারেই চোখ রাখলে দেখা যাবে, ছবির অনেকটা অংশ জুড়ে ছৌ নাচের উল্লেখ্য এবং দৃশ্য রয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইধিকা বলেন, “ছবিতে আমি ‘ছাউ’ করেছি। ‘ছাউ’-এর একটা ছোট্ট পোরশন। ‘ছাউ’ অনেক ডিফিকাল্ট একটা বেঙ্গলি ফক। এই নাচে ভীষণ পারফেকশন লাগে।

যদি ছোট্ট একটু এদিক- ওদিক হয়ে যায়, হাতটা একটু বেঁকে যায়, তাহলেই স্টেপটা অন্য হয়ে যায়। সেটা তখন আর ‘ছাউ’ থাকছে না। যেহেতু সেটা মুখে বলা হচ্ছে ‘ছাউ’, সেহেতু নাচটা দিয়েই ঠিক করে বোঝাতে হবে। আমার জন্য একটু কঠিন ছিল।” এরপর আর কী! সমাজ মাধ্যমে এই ভিডিও প্রকাশ পেতেই নেটিজেনরা কেউ হেসে লুটিয়ে পড়ছেন, তো কেউ আবার তীব্র কটাক্ষ করছেন অভিনেত্রীকে। যেমন, “একজন বাঙালি হয়ে সম্পূর্ণ কথাটাই যখন বাংলায় বলছেন তাহলে অতিরিক্ত ভাব নিয়ে ‘ছৌ’কে ‘ছাউ’ বলার কি মানে?”

সমাজ মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে নানান মিম আর অভিনেত্রী হচ্ছেন ট্রোলও! কেউ লিখেছেন, “ছাউ-ই বলতে হবে? ছৌ বলতে কি মান-সম্মান যাচ্ছে? বাংলা সিনেমা করে, বাংলায় থেকে খেয়ে রোজগার করে এদের বাংলা বলতে সমস্যা!” অন্যজন আবার ব্যঙ্গ করে বলেছেন, “আমি ছাউ শুনে হাউ হাউ করে কেদে ফেললাম! বাংলা ফোককে ফা*ক করে দিয়েছেন। চাউ, ঝাউ, মাউ,লাউ সব শুনেছি। জীবনে ছাউ শুনিনি। কি অশিক্ষিত বাবারে!” আবার কারোর চিন্তা, “আমি শুধু সাংবাদিকের কথা ভাবছি! উনি কি করে হাসি চেপে ছিলেন?

আরও পড়ুনঃ “সনাতন ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত!” “বাকস্বাধীনতার নামে ইচ্ছাকৃত উস্কানি!”— অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং তাঁর ব্যান্ড ‘হুলিগ্যানিজমের’ বিরুদ্ধে ‘মন্দির-মসজিদ’ টেনে এনে ধর্মীয় সংবেদনশীলতা ভঙ্গের অভিযোগ! ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির, লালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের!

ইধিকার আসলে দোষ নেই, বাংলাদেশের শাকিব খানের সাথে সিনেমা করে বুদ্ধি লোপ পেয়েছে আর কি!” একজন কটাক্ষ করেছেন, “আসলে দুইদিনের ফকিরেরও ইচ্ছে হয় রাজার বেশে থাকতে । চারটে ছবি করেই ‘ছৌ’কে ‘ছাউ’ করেছে, চল্লিশটা ছবি করলে হয়তো বাবাকে ‘বৌ’ আর মাকে ‘মিয়াউ’ বলে ডাকবে!” সব মিলিয়ে এই মুহুর্তে অভিনয়ের জন্য যতটা না প্রশংসা পাচ্ছেন অভিনেত্রী, তার থেকে বেশি বিভিন্ন রকম কটাক্ষ এবং সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন তিনি।