বছরের প্রথম দিন (new year) মানেই নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে গোটা বিশ্ব আনন্দে মেতে উঠেছিল। রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফুটলেও উৎসবের রেশ কাটেনি। আতসবাজি, আলো, গান—সবকিছু মিলিয়ে সারা পৃথিবী যেন এক উৎসবমুখর গ্রামে পরিণত হয়েছিল। নতুন বছরকে এমনভাবে বরণ করে নিতে কার না ভালো লাগে!
তবে এই আনন্দের মাঝেই চাপা পড়ে যায় কিছু আর্তনাদ। মানুষ যতই উৎসবে মেতে উঠুক, সেই আনন্দের মূল্য দিতে হয় অবলা প্রাণীদের। আতসবাজির বিকট শব্দ এবং দূষণের কারণে প্রতিবছর অসংখ্য প্রাণীর মৃত্যু হয়। নতুন বছরের শুরুতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আনন্দ উদযাপনের নামে বহু প্রাণী অজান্তেই শিকার হয়েছে মানুষের অসচেতনতার।
এই ক্ষতির সাক্ষী হলেন অভিনেত্রী বৃষ্টি রায়। অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকদের কাছে তিনি পরিচিত। কিন্তু এবারের বছরের প্রথম দিনটি তাঁর জীবনে এক দুঃখের স্মৃতি হয়ে রয়ে গেল। অতিরিক্ত শব্দবাজির কারণে তাঁর প্রিয় সানকুনটি হার্টফেল করে মারা যায়। লাইভে এসে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, “আমার বাচ্চাটা চলে গেল। মানুষের সন্তান নয় বলে অভিযোগ করতে পারব না। কিন্তু ও তো পরিবারেরই সদস্য ছিল। এই শব্দ সহ্য করতে পারল না। মাত্র দশ বছর বয়স হয়েছিল ওর, অথচ সানকুনরা সাধারণত ২৫-৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।”
বৃষ্টির এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রাণীদের প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলেছেন। আনন্দ করাই স্বাভাবিক, কিন্তু তার জন্য পরিবেশ এবং প্রাণীদের কথা ভুলে যাওয়াটা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।
আরও পড়ুনঃ বছরে শুরুতেই দারুণ খবর! মা-বাবা হতে চলেছেন বাংলা টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় জুটি
বৃষ্টি রায়কে শীঘ্রই শর্মিলা ঠাকুর এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ‘পুরাতন’ ছবিতে দেখা যাবে। কিন্তু তাঁর জীবনের এই দুঃখজনক ঘটনা একটি বড় শিক্ষা দিয়ে গেল—আমাদের আনন্দের মাঝে পরিবেশ ও অন্যান্য জীবের প্রতি দায়িত্বশীলতা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।