মানুষের জীবনে সম্পর্ক যতটা ব্যক্তিগত, ঠিক ততটাই এখন সেটা জনসমক্ষে বিচার্য হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যখন সেই মানুষ একজন পরিচিত মুখ। অভিনেতা এবং বিধায়ক ‘কাঞ্চন মল্লিক’ (Kanchan Mullick) ও তাঁর স্ত্রী ‘শ্রীময়ী চট্টরাজ’ (Sreemoyee Chattoraj) এর সম্পর্ক ঘিরে এমনিতেই বিতর্কের শেষ নেই। তবে এবারে বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছেন স্বয়ং কাঞ্চন নিজেই—স্ত্রীর জন্মদিনে আবেগঘন শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পোস্ট করেন, যেখানে লুকিয়ে ছিল এমন কিছু তথ্য, যা পড়ে রীতিমতো হতবাক নেটিজেনরা!
গতকাল ছিল শ্রীময়ীর জন্মদিন, সেই উপলক্ষে সমাজ মাধ্যমে স্বামী কাঞ্চন মল্লিক স্ত্রীর একটি ছবি পোস্ট করেন। তার ক্যাপশনে লেখা ছিল,”ক্লাস নাইনে পড়া মেয়েটা কখন যে প্রেমিকা থেকে স্ত্রী হয়ে কৃষভির মা হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। এতটা পথচলা, এতটা পরিবর্তন শুধু চেয়ে দেখলাম কিভাবে একজন বন্ধু থেকে প্রেমিকা, স্ত্রী থেকে একজন দায়িত্বশীল মা হয়ে ওঠে। তুমি ভালো থেকো, সুস্থ থেকো, আমরা সবাই মিলে ঠিক এভাবেই এগিয়ে যাব ভবিষ্যতের দিকে। শুভ জন্মদিন!”
কার্যত এরই পরে শুরু হয়েছে নতুন সমালোচনার ঝড়। “ক্লাস নাইন থেকে প্রেম”— মূলত এই কথাটার ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে কটাক্ষ। একজন নেটিজেন লিখেছেন,”এই বুড়ি টা ক্লাস নাইনে পড়তো তখন থেকে প্রেম করতেন? তাহলে আগের বিয়ে দুটো কি টাইম পাস মেটেরিয়াল ছিলো? আরও কত মেয়ের জীবন নষ্ট করেছেন? লোফার মেটেরিয়াল আপনি!” আবার কেউ বলেছেন,”আদলে ১৮ বছরের আগে তো বিয়ে করা যায় না, তাই বউয়ের সখ মেটাতে আগের দুটো বিয়ে করেছে।”
কেউ তো সরাসরি কটাক্ষ করে বলেছেন,”ক্লাস নাইন মানে ১৫ বছর তো, তখন থেকেই! কি চরিত্রহীন বেটা রে তুই।” তোর আগের বউ বেঁচে গেছে!” অন্য একজন আবার এরই মধ্যে সামাজিক বার্তাও খুঁজে পেয়েছেন! তাঁর কথায়,”এটা আসলে একটা সামাজিক বার্তা। ভাবুন আপনার আমার বাড়িতে যদি একটা ক্লাস ৮/৯ এ পড়া মেয়ে আসা যাওয়া করে। সে যদি আপনার ৫০ বছরের বরের কাছে ঘোরাঘুরি ও করে আপনি কখনও কল্পনা করবেন।
যে এই বাচ্চা মেয়েটা আর আপনার প্রৌঢ় স্বামী ধীরে ধীরে সম্পর্কে এগোচ্ছে। এটাও কি ভাবা যায়!? আপনার স্বামী তো এদিকে আপনার সঙ্গে ঠিকঠাক আছে। ভাবুন তারপর। তারপর যেটা এখানে হয়েছে সবাই জানে। তাই আসলে এটা শ্রদ্ধেয় অভিনেতা, রাজনীতি বীদের সর্বোপরি একজন মানুষের এই সমাজের প্রতি কর্তব্য থেকেই উনি সবটা জানালেন। সময় থাকতে তাই সকলে সাবধান হোন!”
আরও পড়ুনঃ টলিপাড়ায় ফের বিচ্ছেদ! সুস্মিতা-সব্যসাচীর পর দীপ্সিতা-কৌশিক! তিন বছরের দাম্পত্যে ইতি, যৌথ সিদ্ধান্তে বিয়ে ভাঙল দীপ্সিতা-কৌশিকের
শুভেচ্ছাবার্তা থেকে যে এমন তুমুল বিতর্ক তৈরি হতে পারে, তা হয়তো কাঞ্চন নিজেও ভাবেননি। কিন্তু বারবার একটাই প্রশ্ন সামনে আসছে—ব্যক্তিগত আবেগ কি কখনও সামাজিক চেতনার চেয়েও বড় হতে পারে? না কি জনপ্রিয়তার মোহে নিজেদের ‘প্রেমকাহিনি’ এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, যেখানে সত্যি-মিথ্যার সীমানা হারিয়ে যাচ্ছে? উত্তর সময় দেবে, কিন্তু এই মুহূর্তে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর এই পোস্ট জুড়ে সমাজ মাধ্যমে বইছে তীব্র ট্রোল আর তীক্ষ্ণ প্রশ্নের ঝড়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।