আজকে তিনি বার্থডে গার্ল। তাই জন্মদিন ছাড়া আর কিছুই বলবো না তাঁর বিষয়ে। আর জন্মদিন মানেই প্রচুর পার্টি, প্রচুর আনন্দ, আড্ডা, প্রচুর খাওয়া-দাওয়া। আজ ৫০টা বসন্ত পেরিয়ে গেলেও একইভাবে বাঙালির হৃদয়ে ধুকপুকানি বাড়িয়ে তোলা অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের জন্মদিন।
গতকাল তিনি জানিয়েছিলেন ঠিক রাত বারোটায় লাইভে আসবেন। এলেন। হলো জমিয়ে পার্টি। সঙ্গী ছিল একগুচ্ছ বন্ধু-বান্ধব। তারপর?
তারপর আজ কীভাবে স্পেশাল ডে উদযাপন করবেন নায়িকা সেটা জানতেই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম স্বয়ং শ্রীলেখা মিত্রর সঙ্গে। গতকালের পার্টির পর আজ প্রচন্ড ক্লান্ত। গলায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। তবু সেটাকে ছাপিয়ে গেল বিস্বাদ, মন খারাপ।
তবে অভিনেত্রীর দুপুরের সঙ্গী হতে চলেছেন ইন্ডাস্ট্রির পুরনো বান্ধবী। দেখা-সাক্ষাৎ করতে আসছেন তাঁর বন্ধু এবং অভিনেত্রী অনন্যা চ্যাটার্জী। বাড়িতেই হবে আড্ডা। বিকেলবেলা রয়েছে একটি বড় চমক। SRFTI কমিটির তরফ থেকে পরিচালক আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তর “ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ক্যালকাটা”-র স্পেশাল স্ক্রিনিং এর আয়োজন রাখা হয়েছে এই সুন্দর দিনের উদ্দেশ্যে। সান্ধ্য পার্টিতে থাকছে ফ্যামিলি ডিনার।
এ তো গেলো আয়োজনের গল্প, এবার আসি উপহারের গল্পে। যদিও অভিনেত্রীর কাছে সব থেকে বড় পুরস্কার ভালোবাসা এবং সঙ্গ, তবে এবার উপরি পাওনা ছিল বন্ধু, আপনজনদের উপস্থিতি। বাবাকে ছাড়া এটা শ্রীলেখা মিত্রর প্রথম জন্মদিন। তাই বাবা গত হওয়ার পর থেকে অভিনেত্রী কোনও ধরনের সেলিব্রেশনের দিকে যেতে চাননি। তার মধ্যেও আলাদা করে উপহার হিসেবে পেয়েছেন সুন্দর লেখা, বিদেশ থেকে পাওয়া প্রসাধনী আর কেক তো আছেই। তবুও সব ছিমছাম রাখতে চান তিনি।
ছোটবেলা থেকে এতগুলো বছর কাটিয়ে ফেললেন, এতগুলো জন্মদিন গেল। ছোটবেলার সঙ্গে বড় হওয়ার মধ্যে অনেকটা তফাৎ। কারণ এখন তাঁর পরিচিতির পরিধি বেড়েছে। তাই দুই বেলার মধ্যে একটু তফাৎ থাকবেই। কিছু যোগ হয়েছে নিশ্চয়। নায়িকা সঙ্গে সঙ্গে জানালেন যোগ হয়নি বরং বিয়োগ হয়েছে তাঁর জীবনে। ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেলেন শ্রীলেখা।
View this post on Instagram
ছোট্টবেলায় মা-বাবার সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন, সেদিন আর স্কুলের ইউনিফর্ম নয় বরং রঙিন পোশাকে স্কুলে গিয়ে সকলের মাঝে স্পেশাল হয়ে ওঠা…তাই আজ বাবা-মাকে বড় মিস করছেন তাঁদের আদুরে মেয়ে।
View this post on Instagram
যার শেষ ভালো তার সব ভালো। তাই আজও নিজের অনুরাগীদের জন্য ভালোবাসায় মোড়া বার্তা দিতে ভুললেন না শ্রীলেখা। সকলকে বললেন সৎ থাকতে নিজের প্রতি। তিনি কোনওদিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ডিপ্লোম্যাটিক জবাব দিতে পারেননি, চাননি। আগামী প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে বদ্ধপরিকর প্রতিটি মানুষকে দিনের শেষে নিজের শর্তে বাঁচতে শেখার একগুচ্ছ অনুপ্রেরণা দিলেন শ্রীলেখা। দিলেন ভালো যাপনের বার্তা।
সাক্ষাৎকার: তিতলি ভট্টাচার্য