বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন অর্পিতা চ্যাটার্জী। যাকে বহু জনপ্রিয় ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে প্রভাত রায়ের ছবি “তুমি এলে তাই” দিয়ে তিনি বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আসেন। তার অভিনীত বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবি হল “উৎসব”, “প্রতিবাদ”, “দেবদাস”, “দেবা”, “সত্যান্বেষী”, “বরুণবাবুর বন্ধু”, “গুলদস্তা”, “আবার বছর কুড়ি পরে”, “আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা”, “হৃদপিণ্ড” প্রভৃতি।

বর্তমানে তিনি একজন অভিনেত্রীর সাথে সাথে একজন লেখিকা এবং একজন প্রযোজকও।
অভিনেত্রী যখন অভিনয় জীবনের সবচেয়ে জনপ্রিয়তার পর্বে ছিলেন, তখনই ২০০২ সালে বাংলা সিনেমার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি বিয়ে করেন। অপর্ণা গুহা ঠাকুরতার সাথে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাদের বিয়ে হয়। তার দু’বছর পর তাদের ছেলে হয় যার নাম তৃষাঞ্জিত।

বিয়ে এবং ছেলে হওয়ার পর তিনি অভিনয় জগত থেকে বেশ কিছুটা বিরতি নেন।
তারপরে আবার ২০০৯ সালে পরিচালক অভীক মুখোপাধ্যায়ের ছবি “একটি তারার খোঁজে” থেকে অভিনয় শুরু করেন।

তারপরে তিনি দুটি বই লেখেন এবং দুটি ছবিতে প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেন। টলিউডের অন্তরে এখন শোনা যায় যে প্রসেনজিৎ এবং অর্পিতা একসাথে থাকেন না। অনেকবার এও জল্পনা উঠেছে যে তাদের দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। কিন্তু সেই নিয়ে প্রকাশ্যে তারা কখনোই কিছু বলেনি।
![]()
কিছুদিন আগে অর্পিতা জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো “দিদি নাম্বার ওয়ানে” এসে তার এবং প্রসেনজিৎ এর সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকটি কথা বলেন। এদিন অর্পিতা বলেন, “যে তার বিয়ের পরে অভিনয় জগৎ থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই তার ব্যক্তিগত।

২০০২ সালে বিয়ে, তারপরে ২০০৪ সালের সন্তান এইসবের পর আর অভিনয় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।” এছারা সেদিন তৃষাঞ্জিতের সাথে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “যে কাজের ব্যস্ততায় অনেকটাই কম সময় দেন তিনি বাড়িতে। তাই ছেলে তৃষাঞ্জিতের কাছে মা, বাবা, ঠাম্মা, দাদু সব ভূমিকাই আমি পালন করি”।





