টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি (Rachna Banerjee)। নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে আজও তিনি বাঙালি দর্শকদের মন জয় করে রেখেছেন। বড় পর্দায় যেমন তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছে, তেমনি ছোট পর্দায়ও তিনি সমান জনপ্রিয়। জি বাংলার “দিদি নাম্বার ওয়ান” (Didi No. 1) রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চলীকা হয়ে তিনি এখন প্রতিটা বাঙালি বাড়ির বিকেলের চায়ের সঙ্গী।
তবে শুধু অভিনয় নয়, তাঁর রসবোধও বরাবরই অনবদ্য, যা সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছে এক পুরনো ভিডিওর মাধ্যমে। কয়েক বছর আগে এক জনপ্রিয় টক শো-তে উপস্থিত হয়েছিলেন রচনা। ২০১৭ সালে ‘অপুর সংসার’ নামক একটি টক শো-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন রচনা, সেখানে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) ছিলেন সঞ্চালক। সেখানে শাশ্বত তাঁকে ইন্ডাস্ট্রির কিছু সহ-অভিনেতাদের সম্পর্কে মজার একটি প্রশ্ন করেন—
যদি কাউকে ‘শিয়াল’, ‘গাধা’ এবং ‘মুরগি’ বলতে হয়, তাহলে তিনি কাকে কোনটা বলবেন? প্রশ্নটা শুনেই রচনা স্মিত হেসে একের পর এক নাম বলে যেতে থাকেন, তবে সবটাই রসিকতার ছলে। তিনি প্রথমেই বলেন, ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বুদ্ধিমান অভিনেতা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee) , তাই তাঁকে তিনি ‘শিয়াল’ বলবেন। কারণ, প্রসেনজিৎ জানেন কীভাবে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হয় এবং কৌশলে সবকিছু সামলাতে হয়।
এরপর যীশু সেনগুপ্তকে (Jishu Sengupta) ‘গাধা’ বলে মজা করে বলেন, যীশুর প্রতিভা থাকলেও তিনি অনেক দেরিতে সেটার পুরোপুরি ব্যবহার করেছেন। তাই হয়তো তিনি আরও আগেই যে জায়গায় পৌঁছতে পারতেন, সেখানে যেতে তাঁর বেশি সময় লেগেছে। এরপর নিজের সহ-অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রচনা বলেন, শাশ্বত ‘মুরগি’— তবে সেটা সাধারণ মুরগি নয়, দেশি মুরগি। কারণ, তিনি জানেন কোন স্বাদ ধরে রাখতে হবে,
আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে মাকে খুব মিস করি! শ্যামৌপ্তি আমার জীবনে বিশেষ! অকপট রণজয়
ঠিক কোন পথে এগোলে সঠিকভাবে নিজের কেরিয়ার গড়া যায়।তাঁর মতে, শাশ্বত যদি চাইতেন, তাহলে হয়তো বলিউডেও কাজ করতে পারতেন, কিন্তু তিনি বাংলার ইন্ডাস্ট্রিতেই থেকে গেছেন এবং সফলও হয়েছেন। এই কথোপকথনের মাঝে অভিনেতা দেবের (Dev) প্রসঙ্গও ওঠে। রচনা মজার ছলে প্রশ্ন করেন, এত সুন্দরী নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করার পর দেব ঠিক কী দেখলেন রুক্মিণী মৈত্রর মধ্যে, যা বাকিদের মধ্যে পাননি?
তাঁর এই রসিক মন্তব্য শুনে সেটের সবাই হেসে ওঠেন, এবং সেই মুহূর্তটি আজও দর্শকদের মনে রয়ে গেছে। এই পুরনো ভিডিওটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, আর নেটিজেনরা আবারও রচনার মজার দিকটি উপভোগ করছেন। তাঁর স্বভাবসুলভ হাস্যরস এবং কথার ছন্দে যে বিনোদনের ছোঁয়া রয়েছে, সেটাই তাঁকে আজও দর্শকদের এত প্রিয় করে রেখেছে। তবে এটি কি নিছকই মজা ছিলো নাকি বাস্তবেই কটাক্ষ করেছিলেন অভিনেত্রী?