প্রেম থেকে দাম্পত্য, তারপর বাবা-মা হয়ে ওঠার এক বছরের যাত্রা সহজ ছিল না, কিন্তু তবুও ভালোবাসাই থেকেছে সবচেয়ে বড় শক্তি। অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টোরাজের জীবনে ২০২৪-এর ভ্যালেন্টাইন্স ডে ছিল নতুন পথচলার সূচনা। এক বছর পর, এই বিশেষ দিনে তাঁদের জগৎ আরও পরিপূর্ণ—কারণ তাঁদের সঙ্গে এসেছে ছোট্ট কৃষভি।
কাঞ্চনের কথায়, “বছরটা খুব দ্রুত কেটে গেল। বিয়ে হলো, আর কিছুদিনের মধ্যেই কৃষভির আগমন। আমাদের জীবনে ও যেন আলো এনে দিয়েছে। এখন আমাদের সেরা ভ্যালেন্টাইন ও-ই।”
শ্রীময়ীর জীবনে গত এক বছরে এসেছে বড় বদল। প্রেমিকা থেকে স্ত্রী, তারপর মা হয়ে ওঠার এই জার্নিটা কাঞ্চনের চোখের সামনে ধাপে ধাপে ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, “এই রূপান্তরটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। একজন নারী কীভাবে মা হয়ে ওঠেন, সেটা পুরুষদের পক্ষে অনুভব করা সম্ভব নয়। আমরা শুধু পাশে থাকতে পারি, ভালোবাসতে পারি, উৎসাহ দিতে পারি। কিন্তু মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা।”
এই এক বছরে তাঁদের জীবনে প্রেম, দায়িত্ব, নতুন সম্পর্কের বাঁধন যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে চ্যালেঞ্জও। কাঞ্চন অকপটে স্বীকার করেন, “আমার থেকেও বেশি ট্রোলিং, মিম শ্রীময়ীকে সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু ও পাশে থেকেছে, শক্ত হাতে সব সামলেছে। আমি সবসময় ওকে এগিয়ে রাখব। এক বটবৃক্ষের মতো ও আমায় আর কৃষভিকে আগলে রেখেছে। তার জন্য ওর প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও বেড়েছে।”
তবে শুধু কষ্ট নয়, আনন্দের মুহূর্তও কম ছিল না। তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার কৃষভির প্রথম হাসি, ওর ছোট ছোট অর্জন, একসঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত। “একসঙ্গে ঘর বানানো, সন্তানকে বড় করা—এসবের মধ্যে যে আনন্দ লুকিয়ে আছে, সেটা এক কথায় বোঝানো যায় না,” বললেন কাঞ্চন।
আরও পড়ুনঃ আশির কোটায় বয়স, অনবদ্য নৃত্য পরিবেশন করে মুগ্ধ করলেন শান্তনু মৈত্রের মা
ভালোবাসা সময়ের সঙ্গে বদলায়, কিন্তু তার গভীরতা থেকেই যায়। কাঞ্চন-শ্রীময়ীর জীবনে এই এক বছরে অনেক পরিবর্তন এলেও, একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসাই তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই বিশেষ দিনে কাঞ্চনের বার্তা একেবারে সহজ, “তোমরা ভালো থেকো, সুস্থ থেকো।”