অভিনয় জগতকে বিদায় জানিয়ে কেটে গেছে প্রায় এক দশক! রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও ভুলতে পারেন না নিজের অভিনয় সত্ত্বাকে! কবে আবার অভিনয়ে ফিরছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়?

জন্মদিন মানেই অনেকের কাছে আনন্দ আর আড়ম্বর। কিন্তু লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে ছবি বরাবরই একটু আলাদা। ছোটবেলা থেকেই মা বলতেন, মেয়েদের জন্মদিন ঘটা করে পালন করা ঠিক নয়। তাই বিশেষ কোনও আয়োজন কখনওই ছিল না। বয়স যতই বাড়ুক, সেই অভ্যাস যেন তাঁকে আজও ছাড়েনি। তবু এই দিনটি এলেই মায়ের আশীর্বাদ আর তাঁর হাতের পায়েসের কথা লকেটের মনে বিশেষ করে ফিরে আসে।

এখন অবশ্য তাঁর জন্মদিনে বাড়ির ছোট্ট মানুষটি সবচেয়ে বেশি উৎসাহী। আগের দিন রাতেই ছেলে কেক নিয়ে আসে, আর ঠিক ১২টায় কেটে শুরু হয় লকেটের ব্যক্তিগত উদযাপন। রাজনীতির ব্যস্ততার মধ্যেও ছেলের সঙ্গে সারাদিন কাটানোই তাঁর সবচেয়ে বড় আনন্দ। সুযোগ পেলেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান, আর অনাথ শিশুদের খাওয়ানো কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে কিছুক্ষণ সময় কাটানো— এসবেই যেন নিজের জন্মদিনের মানে খুঁজে পান তিনি।

অভিনয় জগতকে বিদায় জানিয়ে প্রায় এক দশক কেটে গিয়েছে লকেটের। এখন তাঁর পরিচয় মূলত রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে। সাংসদ থাকাকালীন পাঁচ বছর শ্বাস নেওয়ার সময়ও ছিল না, এখনও প্রচুর কাজ সামলাতে হয়। তাই অভিনয় থেকে দূরে সরে গেলেও মন থেকেই কখনও তা আলাদা হয়নি। পুরনো দিনের কথা বলতেই স্মৃতির দরজা খুলে যায়— কণীনিকা, পাওলি, স্বস্তিকা, দেবলীনা— সবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত যেন আবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

ঋতুপর্ণ ঘোষ থেকে রচনা ব্যানার্জি— বহু তারকার সঙ্গে দারুণ কাজ করেছেন লকেট। এখন আর কারও সঙ্গে দেখা হয় না, অনুষ্ঠানেও যাওয়া হয় না সময়ের অভাবে। তাই মাঝেমধ্যেই মনটা একটু ভারী হয়ে ওঠে তাঁর। বিশেষ করে মনে পড়ে মমতাশঙ্করের দলে নাচ করতে যাওয়া, ট্রেনের মধ্যে জন্মদিনের ছোট ছোট আমেজী মুহূর্ত— সবই আজ মূল্যবান স্মৃতি।

আরও পড়ুনঃ খোলামেলা পোশাক নিয়ে পিসির মতের একেবারে বিপরীতমুখী অবস্থান ভাইঝি শ্রীনন্দার! ‘সিদ্ধান্ত মানুষই নেবে’ অকপট মমতা শঙ্কর

তাহলে কি তাঁকে আবার পর্দায় দেখা যাবে? লকেট সেই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে দেন না। অভিনয়ের প্রতি টান যে এখনও আছে, তা অস্বীকার করেন না। তবে রাজনীতির ব্যস্ততায় সে ইচ্ছে আপাতত চেপে রাখা। ভবিষ্যতে কী হবে, তা সময়ই বলবে— কিন্তু লকেটের ফ্যানেরা নিশ্চয়ই এখনও আশা ছাড়েননি।

You cannot copy content of this page