আমি আমার বক্তব্যে অনড় রয়েছি, স্বস্তিকা নিজের কথায় নিজেকে ছোট করলো! ‘বুকের আঁচল’ মন্তব্যে অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা শঙ্কর!
হালে সমাজমাধ্যমের (Social Media) পাতায় চোখ রাখলে দেখতে পাওয়া যায় ‘রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট’ বা ‘শাড়ির আঁচল’ বা ‘বুকে শাড়ির আঁচল’-এর মতো শব্দবন্ধ। অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের (Mamata Shankar) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সরগরম নেটমাধ্যম। বিতর্কে মুখ খুলেছেন টলিপাড়ার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়(Swastika Mukherjee), শ্রীলেখা মিত্র(Shrilekha Mitra), রূপাঞ্জনা মিত্র(Rupanjana Mitra) থেকে শুরু করে লেখিকা তসলিমা নাসরিন(Taslima Nasrin) পর্যন্ত।
প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমে নববর্ষের সাজ ও আসন্ন নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীদের সাজ পোশাক কেমন হবে সেই নিয়ে আড্ডায় উঠে আসে ‘বুকের আঁচল’ প্রসঙ্গ। মমতা শঙ্কর জানান, ‘‘আজকাল শাড়ি পরব, কিন্তু আঁচল ঠিক থাকবে না! ঠিক বুঝতে পারি না। আগে যাঁদের আমরা রাস্তার মেয়ে বলতাম, যাঁরা ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁরা ওই ভাবে দাঁড়াতেন।’’
অভিনেত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘গ্রামে মহিলাদের কাজ করতে গিয়ে হয়ত আঁচল সরে যেত। তাতে কোনও দোষ ছিল না। আর ওঁরা (যৌনকর্মী) তো পেশার তাগিদে পুরুষদের আকর্ষণ করার জন্য ও ভাবে শাড়ি পরে থাকেন।’’ তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে নেটমাধ্যমে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। যদিও অভিনেত্রী নিজের বক্তব্যর সাপেক্ষে যুক্তি খাড়া করে বলেন, ‘‘আমি তাঁদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এখন যাঁরা বিনা কারণে আঁচল নামিয়ে শাড়ি পরেন, তার প্রতিবাদ করি। লোকে কিছু বললে তাঁরা রেগে যান। বলেন মেয়েদের নীচু করা হচ্ছে। আসলে তো আমরা মেয়েরাই মেয়েদের নীচু করছি।’’
তারপর থেকে তোলপাড় সমাজমাধ্যম। টলিপাড়ার অন্দর আর বাহিরের পরিচিতরা মমতা শঙ্করের বক্তব্যর বিরোধিতা করতে পোস্ট করেছেন ইয়া বড় বড় লেখা, ভিডিও বা ছবি। তারপর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। বললেন, তিনি তাঁর বক্তব্যে অনড়। সমাজমাধ্যমে ট্রোল নিয়ে তিনি পরোয়া করেন না। তিনি দেখেনও না। কটাক্ষকারীরা কদর্য ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করছেন এতে নিজেরাই নিজেদের ছোট করছেন বলে মত অভিনেত্রীর।
আরো পড়ুন: এমন বৌদি কোথায় পাবে?অর্ণবের সঙ্গে বর্ষার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়ে বর্ষার জীবন বাঁচালো পর্ণা!
অভিনেত্রীর অনুরোধ করেছেন আরেকটি বার যেন ভিডিওটা দেখা হয়। উল্লেখ্য , যৌনকর্মীদের প্রতি সম্মান রেখেই তিনি তাঁর বক্তব্য পেশ করেছেন। পতিতাবৃত্তি একটি আদিমতম পেশা। পেশার তাগিদে বুকের আঁচল নামিয়ে ফেল অপরাধের নয়। পুরুষদের আকর্ষণ করতেই তাঁরা সেটা করে থাকেন। তবে যারা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁরা কেন আঁচল নামিয়ে শাড়ি পরেন? প্রশ্ন রেখেছেন ট্রোলারদের কাছে।