দুর্গাপুজোর আগে মেগাস্টারের মানবিক উদ্যোগ! কলাকুশলী-স্পটবয়, সবার মুখে হাসি ফোটাতেই দেবের নজিরবিহীন পদক্ষেপ! দেবে-ইধিকার ‘রঘু ডাকাত’ ট্রেলার লঞ্চ এবার ইতিহাস গড়তে চলেছে নেতাজি ইনডোরে!

দুর্গাপুজোর আগে বাংলা সিনেমার লড়াই জমজমাট হয়ে উঠেছে। বড়পর্দায় একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে একাধিক বহুল প্রতীক্ষিত ছবি। প্রসেনজিৎ থেকে শুরু করে দেব, আবির, অঙ্কুশ, অনির্বাণ, মিমি, শ্রাবন্তী— একেবারে তারকাখচিত তালিকা। এর মধ্যে দর্শকের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে দেবের (Dev) নতুন ছবি ‘রঘু ডাকাত’ (Raghu Dakat)। শুধু গল্প নয়, গান থেকে শুরু করে দেবের লুক, সবকিছু নিয়েই আলোচনায় সরগরম টলিপাড়া। বিশেষ করে ক্র্যাবিতে শুট হওয়া ‘ঝিলমিল লাগে রে’ গানটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে, যেটা নাকি বাংলা ছবিতে একেবারে নতুন এক পরীক্ষা বলা যায়।

তবে শুধু গান বা জুটি বাঁধা নয়, ছবির প্রচার নিয়েও এবার ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নিয়েছেন দেব এবং ছবির প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে হতে চলেছে ছবির ট্রেলার লঞ্চ। কিন্তু সেটি দেখা যাবে না একেবারে বিনামূল্যে। মাত্র ৪৯ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেই প্রবেশ করতে হবে অনুষ্ঠানে। প্রথমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন— ট্রেলার লঞ্চের জন্য আবার আলাদা টিকিট কাটা কেন? এর পিছনে রয়েছে এক মানবিক সিদ্ধান্ত, যা আসলে ইন্ডাস্ট্রির বহু অচেনা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে।

কলাকুশলীরা ছাড়া কোনও ছবিকেই দাঁড় করানো সম্ভব নয়। অথচ পর্দার আলোর পেছনেই তাদের অনেক সময় অবহেলিতই থেকে যেতে হয়। এইবার দেব সেই প্রথা ভাঙতে চাইলেন। আয়োজিত এই ট্রেলার লঞ্চের টিকিট থেকে যে অর্থ আসবে, তার পুরোটা দেওয়া হবে টেকনিশিয়ান ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে। যারা শুটিং সেট বানান, আলোকসজ্জা সামলান, কিংবা সারাদিন শিল্পীদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন– তাদের মুখেও যেন এবার হাসি ফোটে, সেই ভাবনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত।

দেব নিজেই এদিন জানিয়েছেন, হয়তো এবারের চেষ্টাটা খুব বড় পরিসরে হচ্ছে না, তবে এই উদ্যোগ হয়তো আগামী দিনে আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রসঙ্গত, টলিউডে এরকম উদ্যোগ নতুন নয়। কিন্তু নজরুল মঞ্চে ধূমকেতু-র ট্রেলার লঞ্চের পর এবার রঘু ডাকাত-এর অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রত্যাশা অন্য মাত্রা পেয়েছে। দর্শকের চোখ এখন কেবল ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে যে আবারও ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছেন সিনেমাপ্রেমীরা, সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তুঙ্গে।

দেবের কথায়, “সিনেমার সেট যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনই যারা সেই সেটের প্রতিটি ইট যাঁরা গেঁথে দেন, তাদের অবদানকে সামনে আনা উচিত।” দেবের মতে, রঘু ডাকাত শুধুই আরেকটি বড় বাজেটের ছবি নয়। এটি একসঙ্গে বিনোদন, ইতিহাসকে পুনরুদ্ধার এবং শিল্পের আড়ালে থাকা মানুষদের সম্মান দেওয়ার প্রচেষ্টা। দুর্গাপুজোর আবহে, বড়পর্দায় এই ছবি কতটা সাফল্য পায় তা সময় বলবে। তবে আপাতত দর্শকের মনে দাগ কেটে দিয়েছে ছবিকে ঘিরে এই অভিনব পদক্ষেপ।

আরও পড়ুনঃ ফাঁস হচ্ছে চন্দ্র-সোহিনীর কুকী’র্তি! মেঘালয়ে নারী-পা’চার, শিশু-পা’চার ও দে’হ-ব্যবসার মতো অসামাজিক চক্র ছিল তাদের! লুকোনো অতীত টেনে আনছে অস্বস্তি, চন্দ্র-সোহিনীর মুখোশ খুলছে তাদের মেয়ে!

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।