স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্ব শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনী আর কুর্চি নতুনের কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে যথেষ্ট হতাশ। কমলিনীর বাড়িতে নতুনের যা কিছু ছিল– জমা-কাপড়, বই, পারফিউম, ইত্যাদি সব এক এক করে কমলিনী একটা ব্যাগে গুছিয়ে নতুনকে ফেরত দেবে বলে। হঠাৎ মিঠি এসে আপত্তি জানায় যে, এই ঘরকে ছোট থেকে একরকম দেখেছে। এবার সব জিনিস নিয়ে চলে গেলে, ঘরটা একেবারেই অচেনা হয়ে যাবে।
কমলিনী বলে, এই ঘরের চেনা মানুষটাই যখন থাকবে না তাহলে তার জিনিসগুলো রাখার কোনও মানে নেই। কুর্চিও এই প্রসঙ্গে মিঠিকে বলে, সে খুব স্বার্থপর চিরকাল শুধু নিয়ে গেছে। যখন দেওয়ার সময় এসেছে, তখন অপমানের বদলে আর কিছু দেয়নি। কাজেই শহর ছেড়ে চলে গেলে লোকটা মুক্তি পাবে। মিঠির মনে মনে কষ্ট হলেও, সে নিজেকে দোষী মনে করে না। ক্ষমাও চাইবে না জানিয়ে দেয়। উল্টে বলে যে, নতুনকে সে বাবার মতো দেখে সেই জন্যই কথাগুলো বলেছিল।
কুর্চি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে বলে, বাবার মতো বলেই এমন অপমান করছে মিঠি। সত্যিকারের বাবা হলে আর কি কি করত, তার ঠিক নেই। এরপর কমলিনীও বলে, নতুনকে বাবা বলার বা বাবার মতো বলার অধিকার হারিয়েছে মিঠি। এদিকে সন্ধ্যেবেলা রান্নাঘরে খাওয়ার বানাতে ব্যস্ত কমলিনী আর কুর্চি। অন্যদিকে বাকি সবাই টিভি দেখতে। এমন সময় খবরের চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ দেখায়, মেঘালয়ের কামারখোলা এলাকায় চারজনের একটা অসামাজিক চক্রের হদিশ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে আর দুজন নিরুদ্দেশ। তাদের বাড়ি পুলিশ ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়ে এসেছে। নিরুদ্দেশ দুজন নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে দাবি করতে, যদিও এমনটা ছিল না। তারা দীর্ঘদিন সেখানে থাকতে থাকতে লোকে বিশ্বাস অর্জন করে। মেয়ে-পাচা’র চক্র, দে’হ-ব্যবসা, শিশু-পা’চার চক্র ছিল এদের কাজ। মেয়েদের কাজ দেওয়ার নাম করে অচেনা জায়গায় পাঠাতো এরা। দলের প্রধান মাথা ছিল নিরুদ্দেশ দুজন।
দুজনেই নাকি কলকাতা থেকে গিয়ে ওখানে থাকতেন। এই কথা শুনেই বর্ষা সোহিনীকে জিজ্ঞেস করে, তারাও তো ওখানেই থাকতো। চন্দ্র-সোহিনীর চোখে মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট, তাও তারা বলে সেখানে বেশিদিন থাকেনি এমন ঘটনা হয় জেনে। এরপর চন্দ্র কথা এড়িয়ে যেতে ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করে। চপ-মুড়ি খেতে বলে বুবলাই তাঁকে আটকায়। কাজ করতে অক্ষম হয়েও চন্দ্রের বুড়ি মাকেই যেতে হয় সেটা আনতে।
এদিকে একটা শোনার পর থেকেই কমলিনীর অস্বস্তি বোধ হতে থাকে। কুর্চিকে সে বলে, তার যথেষ্ট সন্দেহ আছে যে এই বাঁচার চক্রের সঙ্গে চন্দ্ররা জড়িত। কুর্চি উল্টে বলে, তাই যদি হতো, তাহলে এতটা শান্ত থাকতে পারতো না ওরা দু’জন। কমলিনী জানায়, চন্দ্রদের মেয়ে অনেক কিছু জানে কিন্তু ওর মুখ বন্ধ করিয়ে রাখে সোহিনী। যখনই নিজেরা ঘর দিয়ে বেরোয় বলে পড়াশুনা করছে মেয়ে। যদিও কমলিনীর কথায়, একদিন কমলিনীকে দেখে সে বেরিয়ে এসেছিল।
আরও পড়ুনঃ ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ শেষের পরই মারাত্মক বিপদ! বাড়িতেই ‘ব্রেন স্ট্রো’কে’ আক্রান্ত অভিনেত্রী সায়ন্তনী মল্লিক! এখন কেমন আছেন তিনি?
বলেছিল মা-বাবা তাকে রেখে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে, কলেজে ভর্তি করছে না। চন্দ্রের মা কমলিনী নুডলস বানাচ্ছে দেখে,পরোক্ষভাবে ইচ্ছা প্রকাশ করেন খাওয়ার। কমলিনী বলে, সে তাকে খাওয়ার দিতেই পারে। শুধুমাত্র দুবেলা খাবারের জন্য অন্যের হয়ে এই বয়সে খাটতে হবে না। সোহিনী এই কথা শুনে কমলিনীকে বলে শাশুড়ির কান ভাঙানো বন্ধ করতে। বর্ষাও বলে, তাদের সংসারে নিয়ে কমলিনী যেন মন্তব্য না করে। কমলিনীও মনে করিয়ে দেয় যে, তাঁরা কমলিনীর বাড়িতেই থাকে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।