কনকনে শীতের মধ্যেও যে দার্জিলিং মধুময় হয়ে উঠতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেন নি ঋতুপর্ণা। সদ্যই তিনি আর অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় কিছুদিন কাটিয়ে এলেন সেই শহর থেকেই। সেই অভিজ্ঞতাই এক সংবাদমাধ্যমে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
তবে ছুটি কাটাতে নয়, তারা পাহাড়ে গিয়েছিলেন অতনু বোসের নতুন ছবি ‘অচেনা উত্তম’-এর শুটিংয়ে। এই ছবিতে শাশ্বতকে দেখা যাবে উত্তম কুমারের ভূমিকায় ও ঋতুপর্ণাকে দেখা যাবে সুচিত্রা সেনের ভূমিকায়। সেখানে গিয়ে আবার একঝাঁক বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা হয়ে যায় অভিনেত্রীর।
কিছুদিন আগেই শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে খুব শিগগিরিই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে তিনি যাচ্ছেন দার্জিলিংয়ে। সঙ্গে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও থাকতে পারেন।
এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে করোনা দাপট তুঙ্গে। রাজ্যজুড়ে জারি রয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। দার্জিলিংয়ের অবস্থা কেমন? ঋতুপর্ণার কথায়, “ওখানেও যথেষ্ট বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে। সে সব মেনেই আমরা শ্যুট করেছি। আমাদের কাজ খুব ভালভাবে হয়েছে। বাতাসি লুপ থেকে একটু এগিয়ে লেবং-এ ছবির পটভূমিকায় পেয়েছি কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। সে দৃশ্য বলে বোঝানোর নয়”।
সেখানে নানান বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর সকলের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে ছবিও তুলেছেন তিনি। হঠাৎই দেখা হয়ে যায় স্ত্রীক ঋষি কৌশিক, সোহাগ সেন, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক রঞ্জন ঘোষ, সস্ত্রীক সিনেমাটোগ্রাফার শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বন্ধুদের দেখা পেয়ে বেজায় খুশি অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “কাজটা আর নিছক কাজ রইল না! শৈত্যপ্রবাহ চলতে থাকা শৈল শহরও উষ্ণ বন্ধুত্বের তাপে”।
কৌশিক সেনও কী এই ছবির অংশ। একেবারেই না, জানিয়ে দিলেন ঋতুপর্ণা। কৌশিক তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ে বেড়াতে। গত বছরেই মাকে হারিয়েছেন সুজয়প্রসাদ। ৩রা জানুয়ারি তাঁর মায়ের জন্মদিন ছিল। দার্জিলিংয়েই একান্ত ঘরোয়াভাবে তাঁর মাকে স্মরণ করেন সকলে।
ঋতুপর্ণা জানান শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ ও ছুটি, দুই-ই উপভোগ করতে এসেছিলেন। কাজের ফাঁকেই চলল দেদার আড্ডা। মোমবাতির আলোয় নৈশভোজ বেশ উপভোগ করলেন সকলেই। আর ঋতুপর্ণার বাড়তি পাওয়া ছিল তাঁর স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী ও মেয়ে রিষণার সান্নিধ্য।
