আজ নববর্ষের সূচনা হলো বাঙালির জীবনে। এই দিন থেকে বাঙালি আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে। এই বিশেষ দিন উপলক্ষে এক সংবাদপত্রের হয়ে কলম ধরলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
পুরনো দিনের স্মৃতি চারণা করলেন তিনি। পয়লা বৈশাখ নায়িকার জীবনে চিরনতুনের দিন। নায়িকার বাড়িতে পয়লা বৈশাখ মানেই থালা ভরা মিষ্টি এবং নতুন জামা কাপড়। নিজের জন্যে ছাড়াও নায়িকার মাসি-পিসি, বাড়ির সবার জন্যই কেনাকাটা হত।
সেই অল্প বয়সে পয়লা বৈশাখ ছিল উপহার পাওয়ার, আদর পাওয়ার জন্য একটি বিশেষ দিন। অনেকটা দুর্গাপুজো বা ইদের মতো বা বড়দিনের মতোই চারদিক ভরে থাকত মানুষের কোলাহলে।তারপরই নায়িকা বলেছেন যে বড় হওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব হলো পয়লা বৈশাখ।
বহু বাঙালি পৃথিবীর চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। পয়লা বৈশাখে তাঁরা মনে করেন বাংলা ভাষার কথা, জননী ভাষার কথা। বাড়ির পাশাপাশি পাড়াতে নববর্ষ পালিত হতো। ছবি আঁকা, নাচগান শেখার স্কুলে অনুষ্ঠান হতো।
তার জন্য আবার একমাস আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হতো। কপালে লাল টিপ, মাথায় ফুল, লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরে এসো হে বৈশাখ আর হে নূতন গান গাওয়া, নাচ করা ছিল অত্যাবশ্যকীয়। ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখে ভোরবেলায় উঠে প্রথমে ঠাকুরমাকে প্রণাম করতেন ঋতুপর্ণা।
এই দিনে নায়িকার মন বিষণ্ন হয়ে উঠেছে। ইন্দুমতী, তুতুনদের নিয়ে একটা দল ছিল নায়িকার। পয়লা বৈশাখ আসলেই সবাই এদিক ওদিক থাকলেও যোগাযোগ করতেন এই দিনে। কিন্তু ইন্দুমতী অকালে চলে গেছে। তাই এবারের পহেলা বৈশাখে তাকে খুব মনে পড়ছে নায়িকার। এরপর কর্মসূত্রে এই দিনে বহু ছবির মহরত হয়েছে, ছবি মুক্তি পেয়েছে, স্টুডিও পাড়ায় অনুষ্ঠান হয়েছে।
একবার এই দিনে নায়িকা বাংলাদেশে গিয়েছিলেন এক ছবির শুটিংয়ের জন্য। সেখানে সকাল সকাল শোভাযাত্রা হয়। হাজার হাজার ছেলেমেয়ে রাস্তায় নাচগান, আবৃত্তি, নাটক করতে করতে এগিয়ে যায়। এবছর নায়িকার গেছেন সিঙ্গাপুরে। তাঁর শাশুড়ি অসুস্থ। তাই সেখানে রয়েছেন তিনি। এজেন্ডা পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন বলে প্ল্যান করেছেন ঋতুপর্ণা।