নতুন জল্পনায় সুস্মিতা-সব্যসাচী! বিচ্ছেদ ঘোষণার পরও সুস্মিতার সিঁথিতে সিঁদুর! সিঁথিতে সিঁদুর নিয়ে ডিভোর্স ডিভোর্স খেলা! সামাজিক মাধ্যমে বিচ্ছেদ, বাস্তবে সহবাস? ভিডিও দেখে তুঙ্গে জল্পনা!

যেখানে একটা সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, সেখানেই কি আবারও নতুন কোনও শুরু সম্ভব? ‘সুস্মিতা রায়’ (Susmita Roy) এবং ‘সব্যসাচী চক্রবর্তী’র (Sabyasachi Chakraborty) বিচ্ছেদের (Divorce) ঘোষণার পরদিনই এমন বহু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে টেলিপাড়ার অলিগলিতে। জন্মদিনে প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে যে পোস্টটি ভাগ করে নিয়েছিলেন সুস্মিতা, তা বহু মন ভেঙে দেয়। দু’জনেই জানিয়েছিলেন, সম্মতিতেই তাঁরা আলাদা হচ্ছেন, নতুন অধ্যায়ের খোঁজে। কিন্তু সেই অধ্যায়ের শুরুতেই আবার এক রহস্য!

বিচ্ছেদের ঠিক পরের দিনই সমাজ মাধ্যমে নিজের অসুস্থতা নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেন সুস্মিতা। জানান, পেট ব্যথা, বমি এবং পায়ের যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। ফলোয়ারদের কাছ থেকে ভালো কোনও চিকিৎসকের নাম চান সাহায্যের আশায়। ভিডিওটি স্বাভাবিকই মনে হতে পারত, কিন্তু অনেকেরই চোখে পড়ে যায় অন্য একটি জিনিস। ভিডিওতে যে জায়গায় বসে ছিলেন অভিনেত্রী, তা বহুদিন ধরেই চেনা— সেখানেই তো সব্যসাচীর সঙ্গে একসঙ্গে থাকতেন তিনি! তাহলে কি তাঁরা এখনও একই ছাদের নিচে আছেন?

এই ভিডিও ঘিরেই জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়, যখন পরেরদিন সুস্মিতা আরও একটি ভিডিও করে জানান, তাঁর শারীরিক উন্নতির এবং ব্যবসার কিছু তথ্য। অনেকে লক্ষ্য করেন সুস্মিতার সিঁথিতে এখনও জ্বলজ্বল করছে সিঁদুর! সম্পর্ক শেষের ঘোষণার পরও কেন মাথায় স্বামীর নাম সিঁদুর পড়ছেন? অনেকেই মনে করছেন, এটা হয়তো নতুন করে সম্পর্ককে একটা সুযোগ দেওয়ার সংকেত। অনেকে আবার বলছেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও আবেগ থেকে এখনই সিঁদুর ত্যাগ করতে পারেননি অভিনেত্রী।

তবে আরেক অংশের দাবি, এটি নিছকই একরকম ‘অ্যাটেনশন সিকিং স্ট্যাটাজি’! সমাজ মাধ্যমে যেহেতু এখন অনেকের জীবনজীবিকার মাধ্যম, তাই অনেকে মনে করছেন— এই বিচ্ছেদ-সংক্রান্ত কনটেন্টগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবেই নাটকীয় করা হচ্ছে। কেউ কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, “আজকাল বিয়ে, সম্পর্ক, ডিভোর্স সবকিছুই ইনফ্লুয়েন্সিং কন্টেন্ট!” আবার কেউ লিখেছেন, “যে মেয়েটা বিচ্ছেদের ঘোষণা করে সেদিনই সিঁথিতে সিঁদুর নিয়ে পোস্ট করে, সে আদৌ সত্যি বলছে তো?”

আরও পড়ুনঃ ঢাক-উলুধ্বনিতে মূখরিত হলো কলকাতার রাজপথ! ইতিহাসের পাতা ছিঁড়ে রাস্তায় নেমে এলেন ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’! ধারাবাহিকের প্রচারে রীতিমতো বিপ্লব! স্টার জলসার অভিনব উদ্যোগ, এমন চমক আগে দেখেনি বাংলা!

যদিও এর পাল্টা কিছু ফলোয়ার বলছেন, সিঁদুর শুধু সিস্টেমে নয়, অনেক সময় আবেগেও গাঁথা থাকে— সেটা নিতান্তই ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। দিনের শেষে এই পুরো পরিস্থিতি একটাই প্রশ্ন রেখে যায়— মানুষ কোথা থেকে শুরু করবে, কোথায় শেষ টানবে, আর ঠিক কোনটুকু জায়গা জনসমক্ষে থাকবে? বিচ্ছেদ হয়েছে মানেই সেটা সবকিছুর পরিসমাপ্তি নয়, আবার সিঁথির সিঁদুর মানেই সব স্বাভাবিক— সেটাও নয়। সুস্মিতা ও সব্যসাচীর সম্পর্ক ঠিক কোন অবস্থানে আছে, তা হয়তো ভবিষ্যতেই স্পষ্ট হবে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।