“ও যে আমার থেকে ১৪ বছরের বড় সেটা প্রথমে ঠাম্মিকেই জানিয়েছিল সোহিনী” সম্পর্কের শুরুটা কি সত্যিই মসৃণ ছিল সোহিনী-সপ্তর্ষির? ১২ বছরের সুখী দাম্পত্যের অনন্য উদাহরণ এই তারকা দম্পতি

বিনোদন জগতে অসম বয়সের প্রেম এমনকি বিরল হলেও কখনো কখনো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে। তেমনই একটি দৃষ্টান্ত টলিপাড়ার প্রিয় জুটি সোহিনী সেনগুপ্ত ও সপ্তর্ষি মৌলিক। সোহিনীর থেকে ১৪ বছর ছোট সপ্তর্ষি। এত বড় বয়সের ফারাক সত্ত্বেও তাদের প্রেমের গল্প সকলকে অবাক করেছিল। প্রেমের পর তাদের বিয়ে এবং পরবর্তীতে সুখী দাম্পত্য জীবন এ জুটিকে আরও আলোচনার মুখে এনেছে।

সোহিনী সেনগুপ্ত, যিনি আগে গৌতম হালদারের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন, তৎকালীন সময়ে সিনেমার জগতে নতুন প্রবেশ করেছিলেন। ‘পারমিতার একদিন’ ছবিতে শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী, পরে তার অভিনয় দক্ষতার জন্য ব্যাপক পরিচিতি পান। সপ্তর্ষির সঙ্গে তার সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে নাটক শেখার সময়, যেখানে প্রাথমিক বন্ধুত্ব থেকে ধীরে ধীরে ভালোবাসা গড়ে ওঠে।

অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক এবং সোহিনী সেনগুপ্তের সম্পর্কের মূল বৈশিষ্ট্য হলো একে অপরের প্রতি গভীর বোন্ডিং। বয়সের ফারাককে তারা কখনোই বাধা হিসেবে দেখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বোঝাপড়া, পারস্পরিক সম্মান এবং সহমর্মিতা দৃঢ় হয়। সমাজের অনেক সমালোচনা সত্ত্বেও তারা নিজেদের ভালোবাসা ও সম্পর্ককে শক্তভাবে ধরে রেখেছেন।

সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে সপ্তর্ষি জানিয়েছেন, তার পরিবার বিশেষ করে ঠাম্মি প্রথম থেকেই এই বিষয়টিকে একদম সরল ভাবে নিয়েছেন। সোহিনী নিজে থেকেই ঠাম্মির সঙ্গে কথা বলতে চায় এবং তিনি জানিয়েছিলেন বয়সের ব্যাপারে ভবিষ্যতে যেন আর কোনদিনও কথা না বলে সোহিনী, এরপর ঠাম্মি সোহিনীকে পরিবারে সম্পূর্ণভাবে স্বাগত জানান এবং বলেন, “আজ থেকে তুমি এই বাড়ির মেয়ে, আমরা সবাই তোমাকে স্নেহের সঙ্গে মেনে নিয়েছি।” এই ঘটনায় স্পষ্ট হয় তাদের পারস্পরিক বোঝাপড়ার গভীরতা এবং পরিবারের সমর্থনের গুরুত্ব।

আরও পড়ুনঃ “সন্তান জন্ম দেওয়া ছাড়াও মেয়েদের আর‌ও অনেক কাজ রয়েছে, সেটা এবার বোঝা উচিত”—সরকারি মঞ্চে ঠাঁই পায় না তার নাটক, সরকারি হলে দেখানো হয় না তার সিনেমা! আর জি কর আন্দোলনের মুখ হয়ে ব্রাত্য জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী সুদীপ্তা

এভাবেই সোহিনী সেনগুপ্ত ও সপ্তর্ষি মৌলিক অসম বয়সের প্রেমকে সাফল্যের সঙ্গে জীবনে রূপান্তর করেছেন। তাদের গল্প দেখিয়ে দিয়েছে, ভালোবাসা বয়সের সীমা চিনে না, বরং বোঝাপড়া, সহমর্মিতা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতেই স্থির হয়। আগস্টের ২ তারিখে তাদের দাম্পত্য জীবন পূর্ণ করেছে প্রায় ১২ বছর, যা এই প্রেমের স্থায়িত্বের এক অনন্য উদাহরণ।