‘প্যান্টটা পরার কি দরকার ছিল খুলে ফেললেই ভালো হতো’, সোশ্যাল মাধ্যমে নোংরা কটাক্ষের শিকার স্বীকৃতি! দিলেন পাল্টা জবাব

বাংলার জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদার আবারও চর্চার কেন্দ্রে। অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি বেশ সক্রিয়, যেখানে মাঝেমধ্যেই ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের ঝলক ভাগ করে নেন। সাম্প্রতিককালে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে গোপনে বিয়ে করার খবরে। এবার নতুন বিতর্কে নাম জড়াল অভিনেত্রীর।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনে চড়তে দেখা গেছে স্বীকৃতিকে। শহরের ব্যস্ত জনজীবনের স্বাদ নিতে তিনি ট্রেন সফরের অভিজ্ঞতা উপভোগ করছিলেন। ট্রেনের কামরায় স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা গেল তাঁকে, পরনে ছিল সাদা রঙের টি-শার্ট আর কালো শর্টস। সাধারণ পোশাকে স্বাভাবিক মেজাজে ট্রিপ উপভোগ করার সময়ই ঘটে এক অনভিপ্রেত ঘটনা। স্বীকৃতির পোস্ট করা ছবি দেখে এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী অশ্লীল মন্তব্য করেন। সেই ট্রোলার লেখেন, “প্যান্টটা খুলে ফেললে ভালো হতো….।”

Swikriti Majumder

তবে এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্যের পাল্টা দিতে স্বীকৃতি কখনো পিছপা হন না। বরাবরই স্পষ্টবাদী অভিনেত্রী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই জবাব দেন। এই মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে তিনি লিখলেন, “আপনি না জন্মালে দুনিয়াটা ভালো হতো!” স্বীকৃতির এই তীক্ষ্ণ জবাব মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের বড় অংশই তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেন এবং এই ধরনের অনভিপ্রেত মন্তব্যের বিরোধিতা করেন।

অভিনয়জগতে স্বীকৃতির প্রবেশ একেবারেই সহজ ছিল না। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে তিনি অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলা টেলিভিশনে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন তিনি। ‘খেলাঘর’, ‘মেয়েবেলা’, ‘আলোর কোলে’-র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি দর্শকের মন জয় করেছেন।

সাম্প্রতিককালে তাঁকে দেখা গেছে জি বাংলার ‘আলোর কোলে’ সিরিয়ালে, যেখানে তিনি এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কঠোর, দৃঢ়চেতা এবং সাহসী এই চরিত্রটি একেবারেই অন্যরকম। খাকি উর্দিতে তাঁকে দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছেন এবং অনেকে তাঁকে ‘লেডি সিংঘম’ বলেও অভিহিত করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে ট্রোলিং অবশ্য নতুন কিছু নয়। জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের প্রায়ই অনলাইন ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়, এবং স্বীকৃতিও এর ব্যতিক্রম নন। তবে তিনি কখনোই এই ধরনের মন্তব্যকে গুরুত্ব দেন না এবং প্রয়োজনে যথাযথ জবাব দিতেও প্রস্তুত থাকেন। তাঁর মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিককে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজের ওপর মনোনিবেশ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুনঃ অসামান্য অভিনয়ে জিতে নিয়েছিলেন দর্শকের মন! টানা ১০ বছর ধরে পঙ্গু, কামু মুখোপাধ্যায়ের জীবনের গল্প চোখে জল আনবে আপনার

বিতর্ক হোক বা ট্রোলিং, স্বীকৃতি মজুমদার সবসময় নিজেকে দৃঢ়চেতা ও আত্মবিশ্বাসী হিসেবেই তুলে ধরেছেন। তাঁর অনুরাগীরা জানেন, তিনি শুধু প্রতিভাবান নন, বরং প্রতিবাদী মনোভাবের জন্যও অনুপ্রেরণা। সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিংকে উপেক্ষা করে তিনি যে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।