টলিপাড়ার ‘ফেডারেশন বনাম পরিচালক’ দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়, টলিপাড়ায় (Tollywood) ইতিমধ্যে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, শ্রীজিৎ রায়েকে ঘিরে এই দ্বন্দ্ব আগেও ঘটেছে। তবে এবার কি নাম জড়াতে চলেছে ‘সুদেষ্ণা রায়ে’র (Sudeshna Roy) ? পয়লা বৈশাখের ঠিক পরে, ১৬ এপ্রিল আচমকাই এক ফেসবুক লাইভে উত্তর কলকাতার একটি শ্যুটিং ফ্লোর থেকে আত্মপ্রকাশ করলেন সুদেষ্ণা। তাঁর কন্ঠে উদ্বেগ ও মুখে হতাশার চাপ স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, সুদেষ্ণা রায় ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সম্পাদিকা পদে রয়েছেন। অতীতে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শ্রীজিৎ রায়ের সঙ্গেও ফেডারেশনের সংঘাত সামনে এনে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন সুদেষ্ণা নিজেই? নাকি প্রতিবাদের মূল্য চকাতে হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে, পরিচালকের প্রতিবাদী সত্তাই কি তাঁর বিরুদ্ধে এই চরম পরিস্থিতি তৈরি করল?
সুদেষ্ণা জানালেন, নিজের পরবর্তী সিনেমার শুটিং শুরুর মুখেই অপ্রত্যাশিত এক সমস্যার মুখে পড়েছেন তিনি। দীর্ঘ ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক প্রোডাকশন ম্যানেজার শুটিংয়ের মাত্র ছ’দিন আগে বিনা নোটিসে কাজ ছেড়ে দেন। যিনি আবার ফেডারেশন অনুমোদিত সদস্য। সুদেষ্ণা দাবি করেন, ওই ঘটনার পরই বিষয়টি লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট গিল্ড ও ফেডারেশনকে জানানো হয়, কিন্তু ফল মেলেনি। উলটে একে একে ছবির সঙ্গে যুক্ত একাধিক টেকনিশিয়ান শুটিং থেকে নাম তুলে নেন বলে অভিযোগ পরিচালকের।
ফলে নির্ধারিত তারিখে, অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ‘স্বপ্ন হলেও সত্যি’ নামক সিনেমার শুটিং শুরুই করা গেল না। পরিচালক দম্পতি সুদেষ্ণা রায় ও অভিজিৎ গুহর এই নতুন প্রজেক্টে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী ‘অপরাজিতা আঢ্য’ (Aparajita Adhya)। কিন্তু টেকনিক্যাল দলের অভাবে শ্যুটিং ফ্লোর কার্যত ফাঁকা হয়ে যায়। ফেসবুক লাইভে সুদেষ্ণার কণ্ঠে ধরা পড়ে অসহায়তা ও হতাশা। স্পষ্ট জানালেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁর ছবি রুখে দেওয়া হয়েছে।
তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, তাঁর দলেরও ক্ষতি হয়েছে। পরিচালকের প্রশ্ন, “আদালতের নির্দেশ তো স্পষ্ট ছিল, তা হলে এইভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যায় কীভাবে?” তাঁর কথায়, এমন অন্যায় যেন আর কারও সঙ্গে না হয়, সেই কামনাই রাখেন তিনি। এর আগেও তিনি পরিচালকদের স্বার্থ রক্ষায় সরব হয়েছেন, এবার কি সেই প্রতিবাদের মূল্য চোকাতে হচ্ছে তাঁকে? এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই ফের একবার উত্তাল হয়ে উঠল টলিউড। সম্প্রতি হাইকোর্ট এই ধরনের ঘটনায় ফেডারেশনকে কোনওভাবে কাজ
আরও পড়ুনঃ “মুখে শালীনতা নেই, কলমে কল্পনার বিষ”, “পারলে চরিত্র দের মুখে আরও নোংরা কথা ঢেলে দিতে পারেন তিনি”, চিরসখার ডায়লগ শুনে দর্শকদের তীব্র কটাক্ষের মুখে লীনা গাঙ্গুলি!
আটকাতে বা হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছিল। এমনকি ইউনিক কার্ড না থাকলেও পরিচালকদের কাজ করার অধিকার রয়েছে বলেও জানানো হয়েছিল। হেলথ ইনশিওরেন্স সংক্রান্ত বিষয়েও ফেডারেশনের কোনও হস্তক্ষেপ নেই বলেই নির্দেশ দেয় আদালত। তাহলে আদালতের নির্দেশকে উপেক্ষা করে কীভাবে বন্ধ হয়ে গেল শুটিং? ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “আমি বিষয়টা জানি না। এখন দেখার, এই সংঘাতের শেষ কোথায় গড়ায়।