শারদ উৎসবের সূচনা হতে না হতেই শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে খুঁটি পুজোর পালা। আর সেই উপলক্ষে দেখা মিলল বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জুটি তিয়াসা লেপচা ও সোহেল দস্তিদার-এর। নবীন সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসবের খুঁটি পুজোয় তাঁরা হাজির ছিলেন এক বিশেষ অনুষ্ঠানে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সোহেলের মা। উপস্থিত দর্শকদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে শুধু পূজোর শুভেচ্ছাই নয়, ইন্টারভিউয়ে উঠে এল তাঁদের সম্পর্ক, জীবনযাপন, ঝগড়া থেকে শুরু করে একে অপরকে বোঝার নানা মুহূর্ত।
অনেকেই মনে করেন, তিয়াসা ও সোহেলের সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্ব নয়, তার চেয়ে বেশি কিছু। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিয়াসা স্পষ্ট বলেন, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কেউ কারোর কিছুই বলতে পারে না। আজ যে কথা বলছি, কাল থাকব কিনা জানি না। এখন অনেক পথ যেতে হবে। তাই আমরা এই সম্পর্কটাকে রেসপেক্ট দিয়ে মেনটেন করছি।” সোহেলও বলেন, “মানুষ অনেক কথা বলবেই। কিন্তু আমরা নিজেদের মধ্যে যে সম্মানবোধ আছে সেটা নিয়েই এগোতে চাই।”
সবচেয়ে স্পষ্ট মন্তব্য আসে সোহেলের মায়ের তরফ থেকে। তিনি বলেন, “আমি তিয়াসাকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ি না। ওরা ঝগড়া করলেও সেটা ওরাই সামলে নেয়। শুধু বলি, মুখের লাগাম রাখবে। মেয়েদের সম্মান করতে শিখতে হবে। আমি ওকে বরাবরই স্বাধীনতা দিয়ে বড় করেছি, শুধু চাই ভালো মানুষ হয়ে উঠুক।” এই বক্তব্যে দর্শকরা আরও কাছ থেকে অনুভব করেন এই জুটির মধ্যে থাকা মানবিক যোগাযোগটুকু।
সাক্ষাৎকারে তাঁদের সম্পর্কের বাইরে আরও অনেক ব্যক্তিগত মুহূর্ত উঠে আসে—শপিং, জন্মদিনের সারপ্রাইজ কিংবা ছোটখাটো ঝগড়া। তিয়াসা বলেন, “সোহেল যা দেখে পছন্দ করে, সেটাই আমি নিই। কিন্তু ও সবসময় উল্টোটা বলে, যেন আমাকে কনফিউজ করে!” জন্মদিন নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি জানান, “আমি প্ল্যান করেছিলাম, কিন্তু ও প্রথমে সিরিয়াস মুখ করে বলল আসবে না। তখন মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পরে যখন উইশ করতে এলে, তখন আর রাগ ধরে রাখতে পারিনি।”
আরও পড়ুনঃ ভাঙল বৈধব্যের প্রাচীর! জন্মদিনে নতুনের জন্য জীবনে রং ফিরিয়ে আনল কমলিনী! মন্দিরে নতুন-কমলিনীর আবেগঘন মুহূর্ত! ডল নয়, কমলিনীই চিরসখা! নতুনের অকপট স্বীকারোক্তি!
তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলতে নারাজ এই জুটি। তিয়াসা বলেন, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কেউ কারোর কিছুই বলতে পারে না। আজকে আমি যে কথা বলছি, কাল থাকব কিনা সেটাও জানি না। এখনও অনেক পথ যেতে হবে। তাই এখন আমরা যেটা আছি, সেটা রেসপেক্ট দিয়ে মেনটেন করতে চাই।”
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।