“সংসারের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা মুখের কথা নয়!” সংসারের জন্য কেরিয়ারকে বিদায় জানিয়ে বড়াই করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার হয়েছেন রাজা পত্নী মধুবনী! অবশেষে কী বললেন নায়িকা?

কথায় আছে জীবনে ভালো কিছু পেতে গেলে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়। তেমনই কেউ যদি তার সন্তানকে মানুষ করতে চায় তাহলে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিজের স্বাচ্ছন্দকে অনায়াসে ত্যাগ দিতে পারে যেকোনো নারী। যদিও বর্তমানে এমন নিদর্শন খুব কমই দেখা যায় তবুও তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেত্রী তথা ব্লগার মধুবনী গোস্বামী।

বর্তমানে এই অভিনেত্রী একেবারে ঘরোতরো সংসারী। সন্তান-স্বামী-শ্বশুর বাড়ি নিয়ে বেশ ভালোভাবেই দিন কেটে যায় মধুবনীর। তবে, সংসার সামলানো সঙ্গে সঙ্গে তিনি অভিনয়কে বিদায় জানালেও ব্যক্তিগত জীবনে নিজের স্যালো এবং সারাক্ষণের জন্য ভ্লগিং নিয়ে ব্যস্ত। বলাই বাহুল্য, সন্তান কেশব হওয়ার পর থেকেই অভিনেত্রীকে আর সেই ভাবে পর্দায় দেখা যায়নি।

প্রসঙ্গত বেশ কয়েকদিন ধরে অভিনেত্রীর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট কিংবা মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনা চলছে নেটিজেনদের মধ্যে। অভিনেত্রী কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন, “মা হওয়া সত্যিই সহজ নয়… নিজের প্রমিসিং কেরিয়ারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, সন্তান এবং সংসারের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা মুখের কথা নয়। অনেকে হয়তো বলবেন, ‘তোমার আর্থিক সচ্ছলতা আছে, তাই তুমি করেছ!’ কিন্তু এখানেই একটা মস্ত বড় ভুল, যা আমি আপনাদের শুধরে দিতে চাই… আমি ব্যক্তিগত ভাবে এমন বহু জনকে চিনি, যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও তারা কিন্তু করেনি…শুধু ‘নিজের পয়সা’ বা ‘বরের পয়সা’ থাকলেই হয় না, নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে বিসর্জন দেওয়ার মতো মনও থাকা দরকার।”

মধুবনীর এই পোস্ট দেখে মহিলা নেটিজেনদের একাংশ। এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি যে পোস্টটা করেছি সেটা কেবলই আমার জীবনের জন্য প্রযোজ্য। অন্য কাউকে তো আমার পথ অবলম্বন করতে বলিনি। আমি তো নীতিপুলিশ নই যে, কে কী করবে সেটা বলে দেব।”

আরও পড়ুনঃ “শাঁখা-পলা ভাগ্যের বিষয়, কেউ চাইলে পরতে পারে না!” “বিদেশে ওয়েডিং রিং পড়তে হয়, এখানে শাঁখা-পলা পড়তে লজ্জা কীসের?”— শাড়ি বিতর্কের পর এবার শাঁখা-পলা প্রসঙ্গে কড়া বার্তা মমতা শঙ্করের! আধুনিকতার ভিড়ে কী হারিয়ে যাচ্ছে বিশ্বাস?

এরপর কর্ম জীবন নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের উদ্দেশ্য অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “ক্যামেরার সামনে থাকলেই কাজ করা হয়! আমি আমার জীবনে কী কাজ করছি, কতটা ব্যস্ত সেটা অন্য কাউকে দেখাতে যাব? আজ মানুষে সমালোচনা করেছে। কারণ, নিশ্চয় এতটা পরিচিতি আছে বলেই।” অবশেষে, মধুবনী তাঁর কথার মাধ্যমে বোঝান যে বাইরের কারোর কথাই তিনি প্রাধান্য দেন না।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।