বিপদের দিনে কত রক্তের সম্পর্কের মানুষদের আলাদা হয়ে যেতে দেখেছি! অল্প বয়সেই কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তিথিকে! তার সংগ্রামের কথা জানলে চোখে জল আসবে

স্টার জলসার সিরিয়াল মা, সেই সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় সিরিয়াল দের মধ্যে একটি ছিল। মা-মেয়ের অটুট বন্ধন এবং সেই সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে তৈরি সিরিয়ালের গল্প মনে করলে আজও অনেক বাঙালি দর্শকদের চোখে জল চলে আসে।

আর এই ধারাবাহিকেরই মূল চরিত্র মেয়ে অর্থাৎ ঝিলিক স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে হয়ে উঠেছেন একজন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী। সকলের প্রিয় ঝিলিকের আসল নাম তিথি বসু। প্রসঙ্গত বহু বছর ঝিলিককে আর সেই অর্থে অভিনয়ের পর্দায় দেখা যায় না।

তিথি বসু, Tithi Basu, tollywood, টলিউড

তবে, তিথি অভিনয়সত্ত্বা বজায় রাখার পাশাপাশিও হয়ে উঠেছেন একজন ফেমাস ফুড ব্লগার। তাই, তিথিকে ছোট পর্দা কিংবা বড় পর্দাতে দেখা না গেলেও অনুরাগীরা তাকে দেখতে পান ফেসবুক ভিডিওর মাধ্যমে।

বলাই বাহুল্য, আজকের এই সফল তিথির পিছনে রয়েছে তাঁর কঠিন সংগ্রাম। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবা ছেড়ে যাওয়ার পরই শুরু হয়ে যায় জীবন সংগ্রামের নানা যুদ্ধ। শোনা যায়, সেই সময় মা সিরিয়ালে অভিনয় করার পারিশ্রমিক দিয়ে স্কুলের ফি জমা দিয়েছেন। বাবা চলে যাওয়ার পরে অভিনেত্রী হতাশ হয়ে পড়লেও মনোবল ভাঙেননি তিনি কখনোই, বরং অদম্য জেদের হাত ধরে উচ্চ মাধ্যমিকের ৯০% পেয়ে পাশ করেছেন।

কোনো এক শোয়ে অভিনেত্রী মনের কথা বলতে গিয়ে দর্শকদের বলেছেন, “খুব ছোট থেকেই রক্তের সম্পর্কের মানুষদের আলাদা হয়ে যেতে দেখেছি এবং যাদের সাথে কোন রক্তের সম্পর্ক নেই তাদেরকে পাশে এসে দাঁড়াতে দেখেছি”।

আরও পড়ুনঃ “অভিনেতা হতে কলকাতায় আসেন দেড়শো টাকা নিয়ে।” — ‘চিত্তরঞ্জনের হৃতিক’ থেকে ‘শান্টু গুণ্ডা’, টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ সৈয়দ আরেফিনের নায়ক হওয়ার লড়াইয়ের গল্প জানেন?

একদিন কষ্ট করেছিল বলে আজ সুখের মুখ বেজেছে তিথি। আজ গাড়ি কেনা থেকে শুরু করে সংসার চালানো, জীবনের নানা শখ মেটানো সবটাই করে নিজের উপার্জনের টাকায়। অভিনেত্রী আরো জানান, একটা সময়ের পর বাবা-মায়ের সম্পর্ক ঠিক হলেও কখনো তিনি বাবার থেকে সাহায্য চাননি। এই মুহূর্তে অভিনয় জগৎ থেকে দূরে থাকলেও ব্যস্ত তিনি ভ্লগিং নিয়ে। রয়েছে নিজের একটা ইউটিউব চ্যানেল। সময় বাধা চাকরি করার ইচ্ছা নেই তার বরং ভ্লগিংকেই আগামী দিনে জীবনে উপার্জনের মাধ্যম করতে চান তিথি বসু।