বাংলা ভাষার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও মঞ্চাভিনেত্রী অনুসূয়া মজুমদারকে চেনে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ ‘কুসুমদোলা’, ‘কুন্দ ফুলের মালা’, ‘অন্দরমহল’, ‘গাছকৌটো’— চার-চারটে বাংলা মেগা সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা কত জনেরই বা আছে বলুন তো?
এক সময় একটি মাল্টিন্যাশনাল সংস্থার দায়িত্বপূর্ণ পদে চাকরি করতেন অভিনেত্রী অনুসূয়া মজুমদার। সেই পদের দায়িত্ব সামলেই পাশাপাশি নাচ, থিয়েটার ও পর্দায় অভিনয় করতেন। কিন্তু চারটি সিরিয়ালে একসঙ্গে চারটে চরিত্রে অভিনয় – এটা তো সহজ কথা নয়। নায়িকা জানিয়েছিলেন যে একটা চরিত্র থেকে আরেকটা চরিত্রে যেতে অসুবিধা হয় না আর অসুবিধা হলে এতদিন ধরে কী করলেন তিনি?
ধারাবাহিকের পাশাপাশি আবার সিনেমায় পা দিয়েছেন। প্রথম সিনেমা ‘বৃত্ত’ যদিও সেটা মুক্তি পায়নি। নাট্যগোষ্ঠী ‘চেনা মুখ’-এ তাঁর অভিনয় দেখে পরিচালক মৃণাল সেন ‘মহাপৃথিবী’র জন্য প্রস্তাব দেন। তারপর আর থামতে হয়নি। ‘তাহাদের কথা’, ‘কালরাত্রি’, ‘ভাল থেকো’, ‘চিত্রাঙ্গদা’ এবং আরও অনেক ছবি এলো পরপর। করেছেন অনেক মেগায় কাজ। অভিনয় ও চাকরি, পাশাপাশি চলতে-চলতে অভিনয়ের প্রতি ভালবাসাটা একটু বেশি হয়ে গেল নায়িকার।
এই মুহূর্তে স্টার জলসার এক্কা দোক্কা ধারাবাহিকে পোখরাজের ঠাকুরমা হয়েছেন অনুসূয়া মজুমদার। এর আগে বউ কথা কও ধারাবাহিকে নিখিলের দিদার চরিত্রে তাঁর অভিনয় নজর কেড়ে নিয়েছিল। আবার জল নূপুর ধারাবাহিকের লক্ষ্মী প্রতিমার মতো গৃহবধুর চরিত্রে অভিনয় করে মন জিতে নিয়েছিলেন দর্শকদের।
যদিও এখন তাঁর বয়স অনেকটাই হয়ে গিয়েছে ৭০ পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু কর্মক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যায় না। এখনও দিব্যি শীর্ষে থাকা চ্যানেলগুলির জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে এই নায়িকার মুখ। কিন্তু কোথাও গিয়ে ভাটা পড়েছে বড় পর্দায়। যদিও ‘মাটি’, ‘গোত্র’ এবং ‘মুখার্জী দার বউ’ এর মতন হিট সিনেমায় লিড রোল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অনুসূয়া।
প্রসঙ্গত, শুধু সিনেমায় অভিনয় নয় সিনেমা তৈরীর কথা ভেবেছেন তিনি আর সেখানেও হাত পাকিয়েছেন অনুসূয়া মজুমদার। সহ-পরিচালক হিসেবে থিয়েটারে কাজ করা হয়ে গেছে। সিনেমা বা থিয়েটার পরিচালনার দিকে এখন মন দিচ্ছেন তিনি।