পার্টির পরে হঠাৎ ‘গায়েব’ ঋ-ভিক্টো! আরিয়ানের বাড়িতে পৌঁছানোর আগে কোথায় ছিল এই দুজন? অন্ধকারে কি লুকোচ্ছে কোনও তথ্য? ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে বিস্ফোরক স্যান্ডি সাহা!

নতুন বিতর্কে উত্তাল ঠাকুরপুকুর কাণ্ড (Thakurpukur Accident)। দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে না পৌঁছালেও, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গেছে দোষ চাপানোর পালা। এই তালিকায় নাম জড়িয়েছে ইউটিউবার ‘স্যান্ডি সাহার'(Sandy Saha) ও। যদিও স্যান্ডি নিজে এই সমস্ত অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে স্যান্ডি জানান, “শুধু একটা ছবি ভাইরাল হওয়াতেই আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ ওই রাতে আমি আর আরিয়ান ছাড়া আরও প্রায় ১০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দোষারোপের লক্ষ্য যেন শুধুই আমি।”

ঘটনার সূত্রপাত একটি পার্টিকে ঘিরে। ধারাবাহিকের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য সাউথ সিটি মলের একটি অভিজাত ক্লাবে পার্টি হয়, যেটি শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়। স্যান্ডির দাবি অনুযায়ী, পার্টি শেষে পরিকল্পনা হয়েছিল, সবাই মিলে আরিয়ানের বাড়িতে যাবেন কিছুক্ষণের আড্ডা দিতে এবং সেখান থেকেই যে যার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেই অনুযায়ী, স্যান্ডি নিজে, শ্রিয়া এবং চ্যানেলের ডিওপি মিলে আরিয়ানের বাড়িতে পৌঁছন। সেখানে কিছুক্ষণ আড্ডার পর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ভোররাতে অভিনেত্রী ঋ এবং ভিক্টো সেখানে পৌঁছন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—এই দু’জন পার্টি শেষ হওয়ার পর কোথায় গিয়েছিলেন, কেন সরাসরি আরিয়ানের বাড়িতে যাননি? স্যান্ডির দাবি আরও স্পষ্ট—তিনি যখন দুর্ঘটনার খবর পান, তখনই ঋকে ফোন করেছিলেন, কিন্তু ঋ ফোন ধরেননি। এর পর থেকে ক্রমাগত তিনি দেখছেন, কিছু সংবাদমাধ্যম “আমি গাড়িতে ছিলাম কি না”—এই প্রশ্নটা না করে বরং ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নিজের মতো গল্প সাজাচ্ছে। তিনি বলেন, “একটা অদৃশ্য প্রশ্নচিহ্ন রেখে যাচ্ছে ওরা। লোকেরা ভাবছে আমিও গাড়িতে ছিলাম, আমিও দোষী।

কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলছি, আমি তখন শুটিং ফ্লোরে ছিলাম। চাইলে আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।” ঘটনাটি এখন আরও আলোচিত, কারণ খবরে উঠে এসেছে যে অভিযুক্তদের তরফে মৃতের পরিবারকে টাকা দিয়ে সমঝোতা করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। স্যান্ডির মতে, “আমি এই প্রস্তাবের ঘৃণিত প্রতিবাদ জানাই। যদি এই দুর্ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিবারের কেউ মারা যেত, তবে কি তারাও টাকা দিয়ে মিটমাট করত? এভাবে তো ন্যায়বিচার হয় না।” তাঁর স্পষ্ট দাবি, অপরাধীর শাস্তি হোক!

আরও পড়ুনঃ “একটা বাচ্চা মেয়েকে টার্গেট করা হচ্ছে! ভিক্টোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, তাই দায়?” ভিক্টো-কাণ্ডে ভাগ্নিকে নিয়ে ট্রোলিংয়ে ক্ষুব্ধ রাজ চক্রবর্তী!

বিচার হোক যথাযথ, কিন্তু তাঁর নামে মিথ্যা গল্প আর ছড়ানো বন্ধ হোক। শেষ কথা—এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দাঁড়িয়ে আছে ঋ এবং ভিক্টোর ‘গায়েব হয়ে যাওয়া’ সময়টা ঘিরে। পার্টি থেকে বেরিয়ে তারা কোথায় গিয়েছিলেন, কেনই বা আরিয়ানের বাড়িতে দেরিতে পৌঁছলেন, এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। যতক্ষণ না সত্য সামনে আসে, ততক্ষণ গুঞ্জন থামবে না বলেই মনে করছেন অনেকেই। আর স্যান্ডি সাহা চান, অবিলম্বে সত্য উন্মোচিত হোক এবং দোষীদের যেন রেহাই না মেলে—কে ইন্ডাস্ট্রির, কে নয়, তা নয়; কথা হোক ন্যায়বিচারের।