দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে কাছে পেয়ে খুব খুশি অনিমেষ! নতুন কোন ফন্দি আঁটছে প্রিয়রঞ্জন? ‘দুই শালিক’-এ ধুন্ধুমার পর্ব!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “দুই শালিক” (Dui Shalik), যেখানে দুই যমজ বোনের জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। প্রধান চরিত্র ‘ঝিলিক (Nandini)আঁখি (Titiksha)‘-যাদের স্বভাব ও জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ঝিলিক স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রতিবাদী, আর আঁখি শান্ত ও সংযত স্বভাবের। ভাগ্যের পরিহাসে তারা এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়, যেখানে একে অপরের জায়গায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়। পারিবারিক সম্পর্ক, প্রেম ও প্রতারণার জটিলতা নিয়ে এগিয়ে চলেছে গল্প। প্রতিটি পর্বেই নতুন মোড় দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলছে।

আজকের পর্বের এর শুরুতেই দেখা যায় অনিমেষ, ভীম ও পুষ্পর কাছ থেকে জানতে পারে ঝিলিকই হলো তাঁর মেয়ে পাখি। দুই মেয়ে আঁখি ও পাখিকে পেয়ে রীতিমত কান্নায় ভেঙে পড়ে অনিমেষ। পুষ্প হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে এইবার ঝিলিক তাদের ছেড়ে চলে যাবে এবং ভীমকে দোষারোপ করতে থাকে কেন সত্যিটা বলে দিল। ভীম জানায় জন্মদাতার কাছ থেকে তার সন্তানের সত্য লুকিয়ে রাখার মত এত বড় পাপ সে কখনোই করতে পারে না। ঝিলিক কে তারা জন্ম দেয়নি ঠিকই, কিন্তু নিজেদের আদর্শ দিয়ে বড় করেছে তাই ঝিলিক কখনোই তাদের ছেড়ে যাবে না।

Ankhi

ভীম অনিমেষ বাবুকে জানায় যে জন্মের পর পাখি যখন কোন সাড়া দেয় না তখন তাকে সৎকার করতে নিয়ে যাবার সময় একটা বাজ পড়ে, পাখি হঠাৎ কেঁদে ওঠে সেই থেকেই তারা সেই ছোট্ট প্রাণকে ধীরে ধীরে নিজেদের সবটুকু দিয়ে বড় করেছে। অনিমেষকে ভীম জানায়, ছোট থেকে কোনদিনও ঝিলিক কে কষ্ট কি জিনিস বুঝতে দেয়নি। নিজেরা না খেয়ে তার মুখে খাবার তুলে দিয়েছে। পুষ্প এবার অনিমেষ বাবুকে বলে, “আপনার এই মেয়েটাকে আমাকে ভিক্ষা দিন না।” ঝিলিক তখন পুষ্পকে জড়িয়ে ধরে বলে, “আমার জন্মদাতা যেই হোক না কেন তোমরা আমাকে নতুন জীবন দিয়েছো, তাই তোমরাই আমার মা বাবা।”

অনিমেষ বাবুও ধন্যবাদ দিতে থাকে ভীম ও পুষ্পকে। কারণ তারা না থাকলে হয়তো পিয়ারকে, পাখিরও ক্ষতি করে দিতে পারতো। এরপর নিজের স্ত্রীর জন্য মন কেমন করতে থাকে অনিমেষের। গৌরব ব্যবস্থা করে লুকানো আস্তানা থেকে রেবতীকে নিয়ে আসে হুইলচেয়ারে করে। নিজের স্ত্রীকে দেখতে পেয়ে অনিমেষ বাবু আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং জিজ্ঞেস করেন অনিমেষ তার কোন ক্ষতি করেছে কিনা। রেবতী জানায় একসময় প্রিয়রঞ্জনকে সে নিজের ভাই ভেবে রাখি পর্যন্ত পড়িয়েছে আর সেই কিনা তাকে মারার চেষ্টা করেছে। রেবতী আরো বলে এই অবস্থাতেও ছাতা বাড়িতে বহুবার তাকে মারার চেষ্টা করেছে।

আরও পড়ুনঃ “কোন‌ও এক অদৃশ্য কারণে বারবার আমি বাদ পড়েছি!” বিস্ফোরক আরত্রিকা! মুখ খুললেন ‘সা রে গা মা পা’ খ্যাত গায়িকা

গৌরব এই কথায় সম্মতি জানিয়ে বলে তার নিজের চোখের সামনে ও এই ঘটনা ঘটতে সে বহুবার দেখে সন্দেহ হওয়াতে রেবতীকে এক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়। সেখানে রেবতী অনেকটা সুস্থ হয়। অনিমেষ বাবু এবার সবাইকে সব সত্যি বলে দেয় যে একসময় তার গাড়ি বাড়ি সম্পত্তি সব ছিল, কিন্তু পিয়ারকে এক কালবৈশাখীর মতো এসে সব তছনছ করে দেয়। এর শাস্তি পিয়ারকে কে পেতেই হবে। আঁখি ও পাখি ও এবার তার বাবা-মায়ের বদলা নেওয়ার জন্য একজোট হয়। দেবাও বলে, “শুধু আপনাদের নয় অনেকেরই অনেক ক্ষতি করেছে পিয়ারকে। এই সব কিছুর জন্য শাস্তি ওকে পেতেই হবে।”

গৌরব বলে পিয়ারকে যখন একবার জেলে গেছে তখন এত সহজে ছাড়া পাবে না সে শাস্তি এবার পাবেই। ঝিলিক বলে প্রিয়রঞ্জনকে শাস্তি দেওয়া এত সোজা নয় ও নিশ্চয় কিছু একটা করবে। এরই মধ্যে থানা থেকে ফোন আসে এবং অফিসার জানায় তাদের হেফাজত থেকে পিয়ারকে পালিয়ে গেছে, তাই সবাইকে সাবধান থাকতে। গৌরব বলে, “আপনারা কেয়ারলেস কিভাবে বলুন তো? একজন দাগি আসামী আপনাদের হেফাজত থেকে বেরিয়ে গেল আর আপনারা বুঝতে পারলেন না?” চারিদিকে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। এরই মাঝে পর্বটি শেষ হয়ে যায়। এবার কি আবার ফিরে আসবে পিয়ারকে নতুন কোনও ঝড় নিয়ে?