একজন বিশিষ্ট বাঙালি পরিচালক (Director) ও প্রযোজক (Producer) হলেন ‘পার্থ সারথি জোয়ারদার’ (Partha Sarathi Joarder)। যিনি বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাঁর কাজের জন্য সুপরিচিত। তিনি তাঁর পরিচালিত ও প্রযোজিত চলচ্চিত্রগুলির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন এবং দর্শকদের মন জয় করেছেন প্রতিবারই। প্রসেনজিৎ (Prasenjit Chatterjee) থেকে শুরু করে বিশিষ্ট অভিনেতাদের সাথে তার কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর কাজের মধ্যে রয়েছে সামাজিক বার্তা ও বিনোদনের মিশ্রণ, যা বাংলা সিনেমার গুণগত মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে তিনি বর্তমান বাংলা ছবির অবস্থা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমি খাদান (Khadan) দেখেছি, বহুরূপী (Bahurupi) ও দেখেছি, খাদান নিয়ে যদি বলতে হয় বলবো খুব ভালো একটা কমার্শিয়াল ছবি, দেখে বোঝাই যায় খুব যত্ন করে বানানো একটা ছবি, বাজেটের ক্ষেত্রেও কার্পণ্য করা হয়নি। দেব আর যিশু খুব অসাধারণ অভিনয় করেছে, বেশ ভালো লেগেছে বাকিদের অভিনয়ও।
যারা বলেন বাংলা সিনেমা একেবারে ফালতু হয়ে গেছে, কিন্তু যদি তাদের জিজ্ঞেস করা হয় কতদিন ছবি দেখেননি? বলবে হয়তো কুড়ি বছর। কিন্তু দেখতে গেলে এখনো কিন্তু ভালো ছবি হয়, যেমন খাদান! হ্যাঁ, কিন্তু যদি আকাশকুসুম চিন্তা ভাবনা নিয়ে ছবি দেখতে যান তাহলে হতাশ হবেন, খাদান হচ্ছে একটা এন্টারটেইনমেন্ট যেমন আপনি একটা রোল কিনলেন, খেলেন, হেভি লাগলো তারপর একটা হজমের ওষুধ খেয়ে নিলেন।
ব্যস! এই ছাড়া খাদান আর কিছু না। লোকেরা না দেখেই বলে এই ছবি ভালো না ওই ছবি ভালো না। সমগ্র বিশ্বের সিনেমার ভবিষ্যৎ কিন্তু দর্শকের হাতেই, এখন পরিসর কমতে কমতে একটা ছোট বাক্সে বন্দি হয়ে যাচ্ছে চলচ্চিত্র।” তিনি আরো বলেন, “আমি যদি হাতের মুঠোয় সব কিছু পেয়ে যাই, তাহলে কেন আলাদা করে টাকা খরচা করে হলে গিয়ে সিনেমা দেখবো?
আরও পড়ুনঃ “আমার ছেলে ঝিনুক প্রথম থেকেই আমার সবকিছু দেখেছে, আমাদের সম্পর্ক সাধারণ নয়!” —ছেলেকে নিয়ে অন্য মাতৃত্বের ইঙ্গিত শ্রাবন্তীর!
এখন যে আমরা ডিরেক্টররা, প্রডিউসাররা হিট হিট করে লাফাচ্ছি, কিন্তু সেরকমটা মোটেও না! হিট ছবি হয় না যে বলছি না, কিন্তু সেটা ১০০-তে একটা। বছরান্তে যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়, সেখানে সেরা হয় কিছু লোক যোগ্যতার জোরে, আবার কিছু লোক টাকার জোরে। আমার মনে হয় সেই পুরস্কারের কোনো ভ্যালু নেই। আমার টাকাও নেই তাই কিনতেও পারবো না পুরস্কার কোনোদিন, নিজের যোগ্যতায় যদি পাই, তো নিজেকে ধন্য মনে করবো।”