ছোট পর্দার এক জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন, ‘দেবোত্তম মজুমদার’ (Debottam Majumdar)। বহু ধারাবাহিকে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করলেও, দর্শকের কাছে তিনি নায়কের সম ভালোবাসা পেয়েছিলেন ‘কেয়া পাতার নৌকা’ (Keya Patar Nouko) ধারাবাহিকের অভিনয়ের জন্য। তাঁর অভিনয় জীবনের সূচনা হয়েছিল স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে।
কিন্তু আসল খ্যাতি আসে লীনা গাঙ্গুলির গল্পে ভিত্তি করে তৈরি ধারাবাহিকে অভিনয় করার পর। এই ধারাবাহিক তাঁকে এনে দিয়েছিল তুমুল জনপ্রিয়তা, কিন্তু এই জনপ্রিয়তা একদিনে আসেনি। এর পেছনে ছিল বছরের পর বছর সংগ্রাম আর অপমান। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে দেবোত্তম নিজেই জানিয়েছিলেন, অভিনয়ের সুযোগ পেতে একটা সময় দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে তাঁকে।
এমনকি প্রখ্যাত একটি স্টুডিওর বাইরে থেকে তাঁকে প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়, এই ঘটনা তাঁর চোখে জল এনে দেয় আজও। সেদিন তিনি কেবল সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। সেই দিনের অপমান আজও নিজেকে ভুলতে দেননি তিনি। তবে ভাগ্য বদলাতে দেরি হয়নি, সেদিন যে মানুষটি তাঁকে ছোট করেছিলেন, আজ তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ অভিনেতা। কারণ সেই অপমানই তাঁকে লড়াই করার শক্তি জুগিয়েছিল।
নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখতে শিখিয়েছিল। দেবোত্তম মনে করেন, জীবনে কিছু ধাক্কা খাওয়া দরকার, নাহলে মানুষ নিজের শক্তিটা চিনতে শেখে না। আজ দেবোত্তম মজুমদার বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। যেই ধারাবাহিকেই তিনি অভিনয় করেন, সেখানেই এক আলাদা ছাপ রেখে যান। তাঁর অভিনয় মানেই বিশ্বাসযোগ্যতা, আবেগ আর বাস্তবতার মেলবন্ধন।
আরও পড়ুনঃ “অনেকে আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকেন, বেশ লাগে! আমার স্ত’ন এতটা সুন্দর না, যতটা তাঁরা আঁকেন।”— নিজের ‘স্ত’ন-ফোকাসড’ কার্টুন প্রিন্ট করে রেখেছেন! স্বস্তিকার এই হাটখোলা স্বীকারোক্তিতে নেটপাড়ার লজ্জা!
তাই তিনি শুধু একজন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা নন, বরং এক নিঃশব্দ নায়ক, যাঁর লড়াই অনুপ্রেরণা জোগায় বহু শিল্পীকে। দেবোত্তমের মতো অভিনেতার সংগ্রাম প্রমাণ করে যে প্রতিভা আর ধৈর্য থাকলে কোনও অপমানই আপনাকে আটকে রাখতে পারে না। বরং সেটাই হতে পারে আপনার উত্থানের প্রথম সিঁড়ি।