নতুন কাকুকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ফাঁদ পাতলো মিটিল। স্টার জলসার ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, অটোর লাইনে দাঁড়িয়েই কমলিনী-স্বতন্ত্র কথা বলে যাচ্ছে। নতুন তাঁকে বারংবার ফোটোগ্রাফির ক্লাসে যেতে বললেও সে পরিবারের এমন দুরবস্থার সময় নিজের ইচ্ছে পূরণ করতে যেতে পারবে না, বলে
কমলিনী।
নতুন এই কথা শুনে বলে তার তোলা ফটো যে কম্পিটিশনে দিয়েছিল, তার রেজাল্ট যে কোনদিনেই বেরোতে পারে। আর, সেখানে কমলিনী জিতবেও বলে স্বতন্ত্র। এরপর, কথায় কথায় নতুন জানায় যখন সেই ফটোগ্রাফির ফলাফল বের হবে সে কোন কিছু না ভেবেই এই বাড়িতে ছুটে যাবে তা যতই বুবলাই বারণ করুক না কেন। এই কথা শুনে কমলিনী তাকে বলে, সে ওই বাড়িতে আসতেই পারে কিন্তু আর কয়েকদিন পরে এলে খুব ভালো হয় যখন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু, এমন কথা শুনে নতুন কিছুই বুঝতে পারে না। কদিন পর সব কীকরে ঠিক হয়ে যাবে? এই প্রশ্ন সেই কমলিনীকে জিজ্ঞাসা করলেও তার উত্তর দেয় না। এমন সময় মনে মনে কমলিনী ভাবে, ডলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গেলে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে যে বা যাঁরা কথা বলে তা সব বন্ধ হবে। এরপর, নতুন কমলিনীকে বলে, বৌঠান এখন তাঁর ঠাকুরপোকে অনেক কিছুই বলে না। তাঁদের মধ্যে দূরত্বও বেড়েছে। নতুন নানা ধরনের প্রশ্ন তার বৌঠান কি করতে থাকলেও সে কোনো উত্তরই দেয় না।
মূলত নতুন এবং বৌঠান-এর মধ্যে এক চাপা অভিমান চলতে থাকে। তাঁরা কেউই একে অপরকে মনের কথা খুলে বলতে পারছি না বরং ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। এরপর, কমলিনী নতুন কে বলে বাড়ি চলে যেতে আর সে নিজেও অটোতে উঠে বাড়ি চলে আসে। এরপর, নতুন মনে মনে ভাবতে থাকে বৌঠান একটু হলেও তাঁকে বেশি ভালোবাসত। কিন্তু, আজ সেই সব ভুল ভেঙে গেছে।
এদিকে, আবার অনেকদিন পর দৃশ্যতে দেখা যাচ্ছে বড়ো ঠাম্মিকে। বড় ঠাম্মি সুযোগ পেলেই এই বাড়ির সবাইকে কথা শোনাতে থাকে। কিন্তু, মিঠি তাঁর কথা শুনে চুপ থাকতে পারে না। বড় ঠাম্মির প্রতিটা কথার পাল্টা জবাব দিতে থাকে। বড় ঠাম্মি তাকে বিয়ের কথা বললে আরো রেগে যায়। মিঠি বলে, বিয়ে ছাড়াও তার অনেক কাজ আছে। বিয়ে করেই বা কী এমন হবে? উদাহরণ টেনে বড় ঠাম্মি তার ঠাম্মা এবং মায়ের কথা বলে। এরা যে বিয়ে করে সুখে আছে এমনটাও তো নয়!
উল্টে, মিঠি বড়ো ঠাম্মিকে বলে, তাঁর ছেলেরা এসে সেই যে একবার তাকিয়ে দিয়ে গেছে আর বাড়ি ফিরে নিয়ে যাওয়ার নাম করে না। তাই, সে সবাইকে কথা শোনানোর আগে যেন নিজের দিকের কথাটা ভাবে। এরপর, বাবিন বড়ঠাম্মী-মিঠির মধ্যে ঝামেলা থামাতে গিয়ে তাকেই কিছু কথা শুনিয়ে দিল। বড়ো ঠাম্মি তাঁকে বলে, বাবিনের বন্ধু মিটিল যে এত বাড়িতে আসে তা মোটেই ভালো চোখে দেখে না।
এরপর বাড়িতে এসে হাজির হয় মিটিল-কমলিনী। মিটিল সঙ্গে আনে সিঙ্গারা-মিষ্টি আর বলে, আজ সবাইকে একটা সুখবর দেবে। এমন সময়, বাবিন বলে সে কী অন্য কোনো হসপিটালে চাকরি পেয়েছে? নাকি বিদেশে যাচ্ছে? কোনটা? কিন্তু, এসব কোনো কথাকেই গুরুত্ব না দিয়ে বড় ঠাম্মি বলে আগেই সবাইকে সিঙ্গারা দিতে। এরপর, মিঠি সবাইকে সিঙ্গারা দেওয়ার সময় কেউ কিছু কথা শুনিয়ে দেয় বড়ো ঠাম্মিকে। এদিকে, মিটিল সবার কাছে আর্জি জানালো, বিয়ে করে সে এ বাড়িতে আসতে চায়। এই কথা শুনে সবাই খুব খুশি হয়ে উঠল।
আরও পড়ুনঃ “মা হতে চাইলে যেমন উৎসাহ দেন, কেউ না হতে চাইলেও তাকে উৎসাহ দিতে হবে”, “মাতৃত্বে বয়স নয় প্রয়োজন মানসিকতার” অকপট পিয়া
এমন সময়, এসে হাজির হয় বর্ষা, বুবলাই। মিটিল আরও বললে, সে এই বাড়িতে বউ হয়ে এসে প্রথমেই একটা কাজ করবে। এই বাড়ি থেকে সবাই মিলে যারা একজনকে তাড়িয়ে দিয়েছে তাঁকে সবার আগে ফিরিয়ে আনবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই কথার বিরোধিতা করল বুবলাই। কিন্তু, মিটিল বলল তার যদি এই বাড়ির ছেলে হয়ে না বলার অধিকার থাকে তাহলে, তারও এই বাড়ির বউ হয়ে হ্যাঁ বলার একটা অধিকার রয়েছে।