ক্যালেন্ডারে ২১ জুলাই দিনটি রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিচিতি পেয়েছে, কিন্তু অনেকেই জানেন না এর প্রকৃত তাৎপর্য। ১৯৯৩ সালে পুলিশের গুলিতে যুব কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনাকে স্মরণ করেই শহিদ দিবস পালনের সূচনা। যদিও ২০১১ সাল থেকে এই দিনটির গুরুত্ব আরও বাড়ে যখন শাসকদল এই দিনে বড় আকারের সমাবেশ শুরু করে। প্রতিবছর এই সভায় দলের কর্মসূচি ঘোষণা ছাড়াও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, স্লোগান ও বক্তৃতা উঠে আসে সামনে। তবে শুধুই রাজনৈতিক কর্মী বা নেতা-নেত্রী নয়, এই মঞ্চে টেলিভিশন ও সিনেমা দুনিয়ার বহু মুখও উপস্থিত থাকেন।
টলিপাড়ার অনেক জনপ্রিয় তারকাই এখন সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কেউ বিধায়ক, কেউ আবার সাংসদ। ফলে প্রশ্ন ওঠে— আরও অনেক পরিচিত মুখ কি এই রাজনৈতিক আঙিনায় পা রাখতে আগ্রহী? বিশেষ করে এমন রাজনৈতিক দল, যার নেতা ভূতের রাজা? এই প্রশ্নই এক মজার ছলে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল অভিনেতা তথা ইউটিউবার ‘সায়ক চক্রবর্তী’র (Sayak Chakraborty) দিকে। এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি যদি ভূতের রাজার দলের সদস্য হন, তাহলে কী তিনটি বর চাইবেন?
সায়কের জবাব ছিল একদিকে রসিক, অন্যদিকে বাস্তববোধে ভরপুর। তিনি বলেন, যদি দলের মাথায় ভূতের রাজা থাকেন, তাহলে তো বিষয়টাই মজার! এক্ষেত্রে বর পাওয়ার লোভে তিনি অবশ্যই সেই দলে নাম লেখাতে চান। আর তিনটি বর চাইলে তিনি যেটা শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, বরং সমাজের কল্যাণে দরকার, সেসবই চাইবেন বলে জানান। তাঁর প্রথম বর—এই সমাজ থেকে যেন সমস্ত অপরাধ চিরতরে মুছে যায়। ধর্ষণ, চুরি বা অন্য যে কোনও অপরাধ যেন মানুষের মন থেকেই মুছে যায়।
দ্বিতীয় বর হিসেবে সায়ক চান, সারা পৃথিবীর মধ্যে যেন কোনও বৈষম্য না থাকে—কেউ গরীব, কেউ বড়লোক, এই বিভাজন যেন একেবারে মুছে যায়। সকলেই যেন সমান মর্যাদায় বাঁচে। আর তাঁর তৃতীয় ইচ্ছে, বর্ণবাদ ও ধর্মীয় বিভাজন যেন মানুষ ভুলে যায়। গায়ের রঙ, জাতপাত, হিন্দু-মুসলিম এই বিভাজন সমাজ থেকে মুছে যাক। তাঁর এই তিনটি বর শুনে সহজেই বোঝা যায়, অভিনয়ের বাইরে সায়ক একজন সমাজ সচেতন মানুষ, যিনি নিজের জনপ্রিয়তাকে মানুষের মঙ্গলের কাজে লাগাতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুনঃ বেঙ্গল টপার ‘পরশুরাম’-এর নায়িকা তৃণা ফিরছেন মহিষাসুরমর্দিনী রূপে! স্টার জলসার পর্দায় ফের দুর্গা সাজতে পারেন অভিনেত্রী! মহালয়ার আগে ভক্তদের কৌতূহল তুঙ্গে!
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এই ভাবনা-চিন্তা থাকা সত্ত্বেও সায়ক কি সত্যিই কোনও রাজনৈতিক দলে নাম লেখাতে চান? উত্তরে অভিনেতা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, রাজনীতিতে তাঁর কোনও আগ্রহ নেই। তিনি বলেন, নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া তাঁর দায়িত্ব, সেটি পালন করেন তিনি। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচি বা মতাদর্শ নিয়ে তিনি যথেষ্ট অবগত নন বলেই এই দুনিয়ায় প্রবেশ তাঁর কাছে ঠিক নয়। তাঁর মতে, “যেটা জানি না, সেটায় না জড়ানোই ভাল।” এই স্পষ্ট অবস্থানেই বোঝা যায়, জনপ্রিয়তা থাকলেই যে সবাই রাজনীতির মঞ্চে আসেন, তা নয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।