“মেরুদণ্ডহীন লোক, আপনাকে বাঙালি বলতে লজ্জা করে!” “না জেনেই যখন করেছেন, তবে এখন ফেরত দিন টাকাটা!”— কটাক্ষের শিকার শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়! ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর বিশেষ প্রদর্শনীতে অনুপস্থিত! প্রশ্ন করতেই চোখে-মুখে অস্বস্তি, রেগে গেলেন তিনি!

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে (Saswata Chatterjee) ঘিরে ফের তৈরি হল বিতর্ক। সম্প্রতি কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত হয়েছিল বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) বিশেষ প্রদর্শনী। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন না শাশ্বত। একই দিনে অবশ্য এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে। আর সেখানেই পুরস্কার হাতে পেলেও তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট ছিল, দর্শকের সাড়া আর ভালোবাসার কাছে কোনও পুরস্কারই আলাদা করে দামি নয়।

তবে, অনুষ্ঠান শেষে যখন তাঁকে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর স্ক্রিনিংয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, অভিনেতার প্রতিক্রিয়াতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ছবির নাম উচ্চারণ হতেই শাশ্বতের চোখে-মুখে অস্বস্তি ধরা পড়ে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই নিয়ে কিছু জানেন না এবং আর কিছু বলতে চান না। এমনকি গম্ভীর মুখে আড়ালে সরে যান তিনি। তাঁর কথায়, “আমি এখন এখানে আছি, ওখানে নয়। এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না যে, কোথায় কি হচ্ছে। আমি এই নিয়ে কিছু বলতে চাই না।” মনে হচ্ছিল, ছবির সঙ্গে নাম জড়িয়ে যাওয়া যেন তাঁকে বিরক্ত করছে।

শাশ্বতের দাবি, ছবির মূল গল্প বা কনটেন্ট সম্পর্কে তাঁকে বিশেষ কিছু জানানো হয়নি। শুধু তাঁর চরিত্র নিয়ে যা জানার ছিল, তাই-ই পরিচালক বলেছিলেন। বাকি অংশে কীভাবে গল্প গড়ে উঠবে বা কীভাবে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হবে, সে বিষয়ে অভিনেতার কোনও ধারণাই ছিল না। সেই কারণেই ছবির চূড়ান্ত আকার দেখে অনেকের মতো তিনিও অস্বস্তি অনুভব করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ছবির আসল বার্তা বা রাজনৈতিক দিক নিয়ে তাঁর কোনও জ্ঞান ছিল না।

কেবলমাত্র নিজের চরিত্র বুঝে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর নাম শুনলেই তাঁর প্রতিক্রিয়ায় যে একরাশ অস্বস্তি ভেসে ওঠে, তা দেখে অনেকেই ধরে নিয়েছেন— এই কাজ হয়তো তাঁর কেরিয়ারের এক অপ্রত্যাশিত ভুল হিসেবেই থেকে যাবে। আবার কিছু অংশের মত একেবারেই উল্টো। সমাজ মাধ্যমে শুরু হয়েছে অভিনেতাকে নিয়ে সমালোচনা। কেউ লিখেছেন, “অভিনেতা হিসেবে আপনি যথেষ্ট ভালো, তার সঙ্গে মেরুদন্ড টাও রোজা রাখলে ভালো লাগতো।”

আরও পড়ুনঃ টিআরপি তালিকায় অপ্রত্যাশিত উলটপালট! আবার শীর্ষে ফিরল ‘পরশুরাম’! এগিয়ে এল ‘রাণী ভবানী’, ধাক্কা খেয়ে নামল ‘পরিণীতা’! সমান পয়েন্টে তিন ধারাবাহিক চতুর্থ স্থানে! কাদের নাম গেল সেরা পাঁচ থেকে বাদ?

একজন লিখেছেন, “পয়সা নিয়ে ভালো লেগেছিল, এখন কার ভয়ে এমন করছেন আপনি? নাকি গিরগিটির মতো রং পাল্টানোই আপনার স্বভাব!” অন্যজনের কটাক্ষ, “না জেনেই যখন সিনেমাটা করেছেনা, জানার পর যা টাকা নিয়েছেন ফেরত দিয়ে দিন। বয়কট করুন টাকাটা! আর না হলে একবার ফুল বডি এমআরআই করান। দেখি কি কি আছে, আর কি কি নেই!” অনেকেই আবার তীব্র ভাষায় নিন্দা করে বলেছেন, “আপনাকে বাঙালি বলে স্বীকার করতে লজ্জা করে!”