সাম্প্রতিক সময়ে শেষ হলো সান বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘শোলক সারি’। বহু বছর পর এই সিরিয়াল দিয়েই আবার অভিনয়ে ফিরেছিলেন মৈত্রেয়ী মিত্র। একসময় টানা কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও মাঝখানে দীর্ঘ বিরতি ছিল তাঁর কর্মজীবনে। এবার আকস্মিকভাবে সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারও দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরেছে অভিনেত্রীকে— এমনটাই জানিয়েছেন তিনি এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে।
সিরিয়ালের শেষ শট দেওয়ার পর মেকআপ রুমে বসে মৈত্রেয়ীর মন ভারী হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, এই একই ফ্লোরেই তাঁর প্রথম ধারাবাহিকের শুট হয়েছিল, আর সেদিন যেমন কষ্ট পেয়েছিলেন, আজ ‘শোলক সারি’ শেষ হওয়ার সময়ও তেমনই অনুভূতি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার কারণে ভাঙা-গড়ার খেলা বুঝে ফেললেও, আবেগ আটকে রাখা এখনো কঠিন তাঁর জন্য।
মৈত্রেয়ীর কথায়, শেষ দিন সবার সঙ্গে বিদায় নেওয়ার পর মনে হচ্ছিল কেউ যেন বলে— “তোমার যাত্রা এখানেই শেষ নয়।” তিনি মনে করেন, জীবনের বা কাজের যেকোনো শেষটাই বেদনাদায়ক। আর যদি সেই যাত্রা সুন্দর ও আনন্দময় হয়, তবে সেই অধ্যায় বন্ধ হওয়া আরও বেশি মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
দীর্ঘ বিরতির পর এই সিরিয়ালে ফিরেছিলেন তিনি। তাই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আঘাতটা এবার আরও গভীর। আগের মতো ধারাবাহিক শেষ হতেই নতুন কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই এখন। ফলে অনিশ্চয়তা ও ভয় তৈরি হয়— স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী। তিনি আরও জানান, বিরতির সময়ে আর্থিক চাপ ছিল, আর সেই চাপ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার আগেই সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। যদিও এটি ব্যক্তিগত বিষয়, তবুও তিনি বলেছেন— কারণ অনেকেই ভাবেন অভিনেতাদের কোনও সমস্যাই থাকে না। কিন্তু বাস্তবে তাঁদেরও নিজের মতো লড়াই করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘আর নিরাপদ নই’ অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অহনা দত্ত! জিমে যাওয়ার পথে ভয়ানক ঘটনার স্বীকার, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিনেত্রী!
তবে তিনি একই সঙ্গে আশাও রাখছেন। জানান, স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর প্রযোজনায় কাজ করায় তাঁর প্রতি ভরসা আছে। ঠিক হলে তিনি নতুন চরিত্রে সুযোগ দেবেনই। এর আগে ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকে স্বল্প সময়ে ক্যাবিনেট মিনিস্টারের চরিত্র করে যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তেমনই ‘শোলক সারি’র চরিত্রটাও তাঁর কাছে বিশেষ। ভবিষ্যতে নতুন কোনও চরিত্রে আবার দর্শকদের সামনে ফিরবেন— এই আশা ব্যক্ত করেন তিনি। আর সবশেষে অনুরোধ করেন— যেন সবাই কাজ পান এবং নিজের মতো ভালো থাকতে পারেন, কারণ এই সময়ে কাজ পাওয়া সত্যিই খুব জরুরি।






‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় সংসার চলে, আবার দাদাদের বাইকও চলে…স্ত্রীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে আর স্বামীরাও তেল ভরার টাকা পাচ্ছে!’ সায়নীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক, ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া নেটপাড়ায়!