‘এত সস্তার স্ক্রিপ্ট লিখবেন না, ২০২৫ শে দাঁড়িয়ে কোন বিধবা বেড়াতে গেলে চিঁড়ে, মুড়ি খায়?’ বিধবাদের রেস্ট্রিকশন দেখিয়ে বিতর্কের মুখে চিরসখা

সম্প্রতি স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ প্রচারিত হয়েছে। ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকটি লীনা গাঙ্গুলীর সৃষ্ট একটি নতুন মেগা সিরিজ, যেখানে অসমবয়সী প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এই ধারাবাহিকে অপরাজিতা ঘোষ দাস এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন। ধারাবাহিকটির নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ‘চিরসখা হে…’ থেকে অনুপ্রাণিত।

সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই নানাভাবে ট্রল করা হচ্ছিল এই ধারাবাহিকের চরিত্রগুলিকে। অনেকেই শ্রীময়ী পার্ট টু বলে দাবি করেছেন এই ধারাবাহিকের গল্পকে। এবারে এই ধারাবাহিকে অনসূয়া মজুমদারের অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। দর্শকদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, বর্তমান সময়ে কোনো বিধবা কি শুধুমাত্র চিঁড়ে-মুড়ি খেয়ে দিন কাটান? এই ধরনের চিত্রায়ণকে তারা অবাস্তব এবং অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন।

ধারাবাহিকটির কিছু উপস্থাপনা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, অনসূয়া মজুমদারের চরিত্রের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। দর্শকদের মতে, বর্তমান সমাজে বিধবাদের এই ধরনের চিত্রায়ণ বাস্তবসম্মত নয় এবং এটি সমাজের বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্ব গুলি দেখার পর একাধিক দর্শকের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। একজন নেটিজেন বলেছেন, “ সবাই মাথা নেড়ে নেড়েই গেল! সরাসরি প্রতিবাদ করতে কি হয়? ও তাহলে তো আবার এপিসোডের সংখ্যা কমে যাবে। বিচ্ছিরি লাগে এমন ন্যাকামি কোন দেখতে দেখিও না।” আবার একজন বলেছেন, “কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে এই সিরিয়ালের কিছু ক্লিপ আসছে। ডিসগাস্টিং গল্প, ২০২৫ শে বিধবাদের এই রেস্ট্রিকশন। রাইটার কি ভেবে এসব লিখেছে, তাও আবার বৌমার মা-বাবার সামনে। আর অনসূয়া ম্যাডাম এত ভালো একজন অভিনেত্রী তাকে এই একরকম সুরে কথা বলায় সব সিরিয়ালে কি ডিসগাস্টিং!”

আরও পড়ুনঃ সরস্বতী পুজোর দিন ফাঁস হল সাইনার আসল বয়ফ্রেন্ডের পরিচয়! কে তিনি? জানলে অবাক হবেন

চরম ট্রোলের মুখে অনুসূয়া মজুমদারের চরিত্রটি। আরো অনেকে নানান কটাক্ষ করেছেন অপরাজিতার শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করা অনুসূয়াকে। এখন ধারাবাহিকটির ভবিষ্যৎ পর্বগুলোতে এই সমালোচনার প্রতিফলন দেখা যাবে কিনা, তা সময়ই বলবে। তবে দর্শকদের এই প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যে, টেলিভিশন ধারাবাহিকের বিষয়বস্তু নিয়ে তারা সচেতন এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ উপস্থাপনা আশা করেন।