‘আপনারা লিখুন’! ‘লাবণ্য’র পাল্টি খাওয়া মানতে পারছেন না স্বয়ং রূপাঞ্জনাও? সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কমপ্লেন’
স্টার এই মুহূর্তে যে পুরনো সিরিয়ালগুলো রমরমিয়ে চলছে তার মধ্যে যে সিরিয়ালের নাম না আনলেই নয় সেটা হল অনুরাগের ছোঁয়া। ৪৫ বার বেঙ্গল টপার হয়ে গেছে এই সিরিয়াল। তবে বিগত তিন সপ্তাহ ধরে টিআরপিতে ধসে গেছে সূর্য-দীপার গল্প। হলটা কী?
এই গল্পের মূল কয়েকটি স্তম্ভ হল সূর্য, দীপা, লাবণ্য এবং মিশকা। ভিলেন মিশকার একের পর এক চালে কুপোকাত ও লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে সেনগুপ্ত পরিবার। লাবণ্য সেনগুপ্ত পর্যন্ত পাল্টে যাচ্ছে আবার। এমনটা তো হওয়ার কথাই ছিল না। মিশকার সব খেল খতম করে তাকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে জেলে পাঠিয়েছিল দীপা। মিশকা সূর্যকে তাকেই হত্যার দায়ে খুনী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছিল। পরে জানা যায় এগুলো ছিল তার প্ল্যান। সেটা সামনে এলেও আরো একটা ঝড়ের কথা জানত না কেউ। মিশকা সূর্যর স্পার্ম নিয়ে মা হয়েছে। অসৎ পথে সন্তান ধারণ করলেও সেই সন্তান আসলে সেনগুপ্ত পরিবারের। সেটা মানতেই হয়েছে দীপাসহ সকলকে।
ঠিক তারপর থেকেই মিশকার তুরুপের তাস হয়ে উঠল তার সন্তান। তাকে দিয়েই আস্তে আস্তে লাবণ্যর মন ঘুরিয়েছে সে। একটা অসহায় মেয়ে অবিবাহিত গর্ভবতী মেয়ে যাকে বাড়িছাড়া হতে হয়েছে তার জন্য লাবণ্যর মন কেঁদেছে। সন্তানের জন্য সে বাধ্য হয়েছে আবার মিশকাকে ওই বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে। যদিও সেই সিদ্ধান্ত ছিল দীপার। তবে দীপা মিশকাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে একরাতের জন্য সেই বাড়িতে আশ্রয় দিলেও লাবণ্য কথা দেয় মিশকার জন্য অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেবে। তার আগেই নিজের স্বরূপ দেখাল মিশকা। এমন কাণ্ড করল যে সে এক প্রিম্যাচিউর ছেলের জন্ম দিল। ডাক্তার বলল বাচ্চাকে নজরে রাখতে হবে, চিকিৎসা চলবে। তারপরে লাবণ্যর সেই সন্তানের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে গেল। দেখাশোনার সব দায়িত্ব লাবণ্য তো নিলোই তার উপর সন্তানসমেত মিশকাকে আবার সেই বাড়িতে আনল আর দাবি করল যে যতদিন না বাচ্চা সুস্থ হচ্ছে ততদিন মা ও সন্তান এই বাড়ি থেকে কোথাও যাবে না। এতেই লুকিয়ে ছিল নতুন বিপদ।
আর এবার আরো এক ঝড় এসে উপস্থিত। সে হল মিশকার বাবা যার দাবি তার মেয়ে ও নাতির জন্য দীপাকে ওই বাড়ি ছাড়তে হবে আর তাই দীপা আর সূর্যকে মিউচুয়াল ডিভোর্স করাতে হবে। প্রথমটাই সবাই চমকে দেয় কিন্তু একমাত্র লাবণ্য বলে ওঠে ভেবে দেখবে। তার এই কথা দীপাকে আঘাত দিয়েছে। আর এবার দর্শকরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ লাবণ্যর এই ব্যবহারে এবং পরিবর্তনে। আর দেখা যাচ্ছে যে দর্শকদের একাংশ দাবি করছে এই কারণেই হয়তো টিআরপি অনেকটা কমে যাচ্ছে। কারণ মিশকার ভিলেনগিরি বন্ধ হচ্ছে না, লাবণ্য পাল্টে যাচ্ছে আর সূর্য-দীপা দূরে চলে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের কভার পিকচার পাল্টে দেন লাবণ্য চরিত্রে অভিনয় করা রূপাঞ্জনা মিত্র। সেখানেই একজন সোজাসুজি লেখে, ‘আপনি এখন ছবি দেবেন না। আপনার উপর সবাই প্রচন্ড রেগে আছে। আপনার এই বদল কেউ মানতে পারছে না। আর চ্যানেলকে বলুন কি মারাত্মক একটা কনসেপ্ট টিভিতে দেখানো হচ্ছে যে পরবর্তী যে কারোর অনেক বড় সর্বনাশ হতে পারে’। এর জবাবে নায়িকা সোজা তাকে এবং আরো একজনকে বলেন চ্যানেলের অফিসিয়াল পেজে কমপ্লেন করতে আর জানাতে যে দর্শক ঠিক কী দেখতে চাইছে। তাহলে কি রূপাঞ্জনা নিজেও চাইছেন এই কনসেপ্ট পাল্টানো হোক?