এই নায়ক তো কলকে পায় না, সে আবার সেরা হবে কি করে? নিজে মহান হবে বলে ইচ্ছে করে স্বয়ম্ভুর চরিত্রকে ছোট করছে রূপসা! কটাক্ষ নেটিজেনদের

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “জগদ্ধাত্রী” শুরু থেকেই দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তবে এই সিরিয়ালের অন্যতম প্রধান চরিত্র স্বয়ম্ভু নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করেন, ধারাবাহিকে স্বয়ম্ভুর চরিত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় না এবং তাকে খুব দুর্বলভাবে উপস্থাপন করা হয়।

ধারাবাহিকের মূল চরিত্র জগদ্ধাত্রী, যিনি শক্তিশালী, বুদ্ধিমান এবং আত্মনির্ভরশীল, বরাবরই গল্পের কেন্দ্রে থাকেন। কিন্তু অনেক দর্শকই চেয়েছিলেন, স্বয়ম্ভুকেও যেন নায়কের মতো করে দেখানো হয়। তার চরিত্রে স্ট্রং পার্সোনালিটি, বুদ্ধিমত্তা এবং মারপিটের দৃশ্য থাকুক—এমন দাবি বহুবার উঠেছে। তবে নির্মাতারা সেই দিকটায় বিশেষ গুরুত্ব দেননি, বরং তাকে একটি দুর্বল ও প্রায় গৌণ চরিত্র হিসেবেই দেখানো হয়েছে।

অনেকে দাবি করছেন, স্বয়ম্ভুর চরিত্রটি ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল দেখানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বেশ কয়েকজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন যে, পরিচালক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর স্ত্রী রূপসা যেহেতু এই ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন, তাই হয়তো তিনি চাইছেন না স্বয়ম্ভুর চরিত্রটি শক্তিশালী হোক। হিরোর সব কাজ তিনিই করেন বলে অনেকেরই দাবি। সোশ্যাল মিডিয়া তেও এই নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে।

দর্শকদের দাবি স্বয়ম্ভুর চরিত্রের জন্য তাকে প্রায়শই কটাক্ষের শিকার হতে হয় রূপসার জন্যই। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মন্তব্য করছেন যে, “স্বয়ম্ভু ঠিকমতো কথা পর্যন্ত বলতে পারে না,” কিংবা “নায়ক হওয়ার যোগ্যতা তার নেই।” আরও কড়া সমালোচনা করে কেউ কেউ বলছেন, “আহাগো! সেরা নায়ক কিনা পড়ে পড়ে মার খায় আর অপমানিত হয়!” এমনকি কিছু দর্শক বলছেন, “একজন নায়ক যদি মেরুদণ্ডহীন হয়, তাহলে সে কীভাবে সেরা নায়ক হতে পারে?” ধারাবাহিকের ভক্তদের অনেকেই এই মতের সঙ্গে একমত, আবার কেউ কেউ মনে করেন, গল্পের প্রয়োজনেই হয়তো স্বয়ম্ভুর চরিত্রটিকে এমনভাবে দেখানো হচ্ছে।

এই বিতর্কের মধ্যেই খবর এসেছে, জি বাংলার জনপ্রিয় পুরস্কার অনুষ্ঠান “সোনার সংসার”-এ সেরা নায়কের ক্যাটাগরিতে স্বয়ম্ভুর নাম মনোনীত হয়েছে। তবে এটি নিয়েও কটাক্ষ থেমে নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ বলছেন, “যে চরিত্র নিজেই দুর্বল, সে কীভাবে সেরা নায়ক হয়?” তবে অন্য একদল দর্শক মনে করেন, চরিত্রের এই দুর্বলতার জন্য পুরো দোষ অভিনেতার নয়, বরং গল্পের চিত্রনাট্যের। স্বয়ম্ভুর চরিত্রে থাকা অভিনেতা যদি সুযোগ পান, তাহলে তিনি আরও শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ “আমার যদি ঠিক বয়সে বাচ্চা হত, তাহলে এতদিনে আমার তিনটে ছানা পোনা হয়ে যেত” – কোন প্রসঙ্গে এমন কথা বললেন তৃণা?

“জগদ্ধাত্রী” ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা যেমন তুঙ্গে, তেমনি স্বয়ম্ভুর চরিত্র নিয়ে বিতর্কও দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই চাইছেন, স্বয়ম্ভুকে আরও সাহসী ও বুদ্ধিমান দেখানো হোক, যাতে সে সত্যিকারের নায়কের মতো লাগতে পারে। এখন দেখার বিষয়, নির্মাতারা দর্শকদের এই দাবির প্রতি আদৌ কোনো গুরুত্ব দেন কি না!