বাংলা টেলিভিশন জগতের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী হল রূপাঞ্জনা মিত্র। তিনি বেশ বহু বছর ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। কয়েকদিন আগে রূপাঞ্জনা মিত্র তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে একটি পোস্ট করেন। প্রসঙ্গত বাংলা টেলিভিশন জগতে একাধিক অভিনেত্রী এবং মডেলের মৃত্যুর ঘটনা নিয়েই চিন্তিত তিনি।
এছাড়া তার মতে আজকাল বাংলা টেলিভিশন জগতে অভিনেত্রীরা নিজেদের কেরিয়ার গঠনের জন্য সহজ পথ অবলম্বন করছে, কারণ তারা কষ্ট করতে চান না। তাই এক এক জন প্রভাবশালী ব্যক্তি যাদেরকে তিনি “সুগার ড্যাডি” বলে আখ্যা দিয়েছেন ধরছে এবং তাদের সাথে লেনদেন এর একটা সম্পর্ক তৈরি করছে।
এই প্রসঙ্গে গত রবিবার নিজের ফেসবুকে অভিনেত্রী লেখেন,’একটা কথা বলতে চাই সেই সব মেয়েদের-কে যারা কাজ পাওয়ার জন্য ইন্ডাস্ট্রি তে ‘সুগার ড্যাডি’ ধরছেন। মেয়েগুলোর বয়স ১৬ থেকে ২০ এর মধ্যেই।আপনারা এর মধ্যেই বুঝে যাচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রি কি নিয়মে চলে? কেউ কেউ তো আবার বার্থডে পার্টিও থ্রো করাছেন সেসব উটকো সুগার ড্যাডি’দের দিয়ে। তাতে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কিছু ইনসিকিউর শিল্পী রা পরিচালকরা যাচ্ছেন …. জাস্ট লাইক দ্যাট….’।
এরপর থেকেই টলিপাড়ায় এই নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়। তারপরেই এক সংবাদ মাধ্যমকে রূপাঞ্জনা বলেন, “এটা কি বে’শ্যাখানা তৈরি করে ফেলবে সকলে? যারা কষ্ট করে নিজের জায়গা তৈরির চেষ্টা করে, তাদের কী হবে? কেউ তো ভরসাই করতে পারবে না। নতুন অভিনেতাদের একটু ভাবা উচিত।”
এই কথা প্রসঙ্গে একাধিক নতুন প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রীদের মুখ খুলতে দেখা গেল। নতুন প্রজন্মের হলেও তারা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় মুখ। তাদের মধ্যে একজন হলেন গৌরব রায়চৌধুরী, এবং উষসী রায়।
রূপাঞ্জনার কথা প্রসঙ্গে গৌরব বলেন, “এটা সম্পূর্ণ নিজেদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে মনে হয় না। যদি তাঁরা ভাল কাজ করেন, সৎ পথে থাকেন তাঁদেরই ভাল হবে, আর যদি খারাপ কিছু করেন তা হলে তা সব সময় প্রকাশ্যে আসবে। আমাদের সমাজের ইতিবাচক দিকেই মনযোগ দেওয়া উচিত।”
উল্টোদিকে উষসীর মন্তব্য কিছুটা গৌরবের মতোই, উষসী বলেন “আমার সত্যিই এই বিষয়ে ধারণা কম। আশপাশে কাউকে এমন দেখিনি। যদি আমার কথা বলেন, তা হলে বলব আমি অনেক কষ্ট করে নিজের জায়গা তৈরি করেছি। আমি বিশ্বাস করি কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। আর যা রটে, সে ক্ষেত্রে বলব কুছ তো লোগ কহেঙ্গে।”