কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Bloodshed) ২২ এপ্রিলের নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের হত্যাকারী সন্ত্রাসবাদীরা, ধর্মবিশেষ কারা করল সেটা সবার জানা। তারই জবাবে কাল গভীর রাতে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) যেন গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে বহু ভারতবাসীর চোখে। এই সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রখ্যাত গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক ‘কবীর সুমন’ (Kabir Suman)। নিজের যুদ্ধবিরোধী অবস্থানে অনড় থেকে তিনি বললেন—এই ‘প্রত্যাঘাত’ বা ‘দেশপ্রেম’-এর ব্যাখ্যা তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, “সব গর্ব যুদ্ধ থেকে আসে না, কিছুটা আসে জিজ্ঞাসা থেকে। যে ধর্মের নামে যুদ্ধ হয়, আমি সেই ধর্মকে মানি না।” তাঁর মতে, ধর্ম বা মতবাদের আড়ালে যেকোনো যুদ্ধই মানবতা ও প্রকৃতির চরম অবমাননা। যুদ্ধের নামে কোনও অপারেশন বা দেশপ্রেমের অহংকার একপ্রকার আত্মবিভ্রম ছাড়া কিছুই নয় বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এরপর কবীর সুমনের মন্তব্য, “আমি যুদ্ধবিরোধী, চূড়ান্তভাবে। আমি এমন ‘দেশপ্রেমে’ বিশ্বাস করি না যেখানে মানুষের পাশাপাশি প্রকৃতির নিধন হয়।”
যখন গোটা বিশ্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগুন উগরে দিচ্ছে, তখন কবীর সুমন প্রশ্ন করছেন, “যে প্রাণগুলো মারা গেল, তারা তো কোনো ক্ষতি করেনি আমাদের। তারা তো শুধুই মানুষ ছিল, আর যুদ্ধ মানেই গাছ পোড়া, জল বিষ, পাখি মরা, শিশুদের কান্না। দেশপ্রেমের নামে যে ‘আকাশে আগুন’ ছুঁড়ে মারা হচ্ছে, সেটা যে কতটা ধ্বংস ডেকে আনছে, তা নিয়ে কোনও নেতা বা চেয়ার বসা দেশভক্তর মাথাব্যথা নেই।”
তিনি আরও খোঁচা দিয়ে বলেন, “সিঁদুর, কিসের সিঁদুর? এটা কি এখন শুধুই প্রতিশোধের রং? আমি এই ধরনের দেশপ্রেমকে স্বীকার করি না। যুদ্ধের নামে দেশপ্রেম দেখানো একধরনের বোকামো। এটা শুধু হিংসার রাজনীতি।” নিজের গানের লাইনে মনে করিয়ে দেন এদিন, “একটা থালায় চারটে রুটি, একটু আচার একটু ডাল, একই থালায় দুজন খাবে, যুদ্ধ হয়ত আসছে কাল।”
আরও পড়ুনঃ নিজে বিবাহিত তবুও চাননি সাবিত্রী বিয়ে করুক! সাবিত্রী দেবীর একাধিকবার বিয়ের সম্বন্ধে ভেঙে দেন মহানায়ক! কিংবদন্তি উত্তম কুমারের জন্যই আজীবন অবিবাহিত রয়ে গেলেন সবিত্রী চট্টোপাধ্যায়!
যে দেশের বুকে বড় হয়েছেন, গান গেয়েছেন, সম্মান পেয়েছেন, সেই দেশই যখন সন্ত্রাস বিরোধী প্রত্যাঘাত করল, তখনই এই শান্তির বুলি! জন্মগত একজন হিন্দু হিসেবে, এক সময়ের নিজ ধর্মের নিরীহ মানুষদের উপর হত্যাকাণ্ড দেখে বুক ফাটলো না কবীরবাবু? পাকিস্তানকে গাল না দিয়ে ভারতকেই দোষারোপ করলেন? যাঁরা পহেলগাঁওয়ের রক্তাক্ত ছবিতে শিউরে উঠেছেন, তাঁদের কাছে প্রশ্ন—এই শান্তির বাণী এখন কতটা সাজে?
“অনেকে আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকেন, বেশ লাগে! আমার স্ত’ন এতটা সুন্দর না, যতটা তাঁরা আঁকেন।”— নিজের ‘স্ত’ন-ফোকাসড’ কার্টুন প্রিন্ট করে রেখেছেন! স্বস্তিকার এই হাটখোলা স্বীকারোক্তিতে নেটপাড়ার লজ্জা!