টলিউড অভিনেতা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kaushik Banerjee) ব্যক্তিগত জীবনের এক সময়ের অধ্যায় নিয়ে বহুবার নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি আবার সেইসব বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তাঁর প্রথম স্ত্রী মনোবীণা মিত্রকে (Monobina Mitra) ঘিরে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। মনোবীণা শুধু কৌশিকের প্রাক্তন স্ত্রী নন, তিনি কিংবদন্তি গায়ক শ্যামল মিত্রের (Shyamal Mitra) কন্যাও। তবে সম্পর্কের জটিলতা কখনওই কেবল একপাক্ষিক হয় না, এই কথা সকলেই জানেন। তবুও যখন কারও জীবন আলোচনার কেন্দ্রে আসে, তখন অনেক সময় মানবিক দিকটা হারিয়ে যায়।
কৌশিক এবং মনোবীণার সম্পর্কও তেমনই এক জটিলতার গল্প, যেখানে ভালোবাসা ছিল, কিন্তু ছিল বাস্তবের কঠিন চাপও। এই সম্পর্ক নিয়ে নানা মানুষ নানা মন্তব্য করেছেন। কারও মতে, মনোবীণা আগে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন এবং পরে মানসিক সমস্যার শিকার হন। আবার কেউ কেউ সরাসরি কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। সামাজিক মাধ্যমে একজন লিখেছেন, “উনি মানুষটাই লম্পট, স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য উনিই দায়ী!” এসব মন্তব্য হয়তো কিছু মানুষের ক্ষোভ বা অভিমান থেকে উঠে আসা, কিন্তু সব সত্যি কি এতটা সরলভাবে বোঝা যায়?
কৌশিক নিজে কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রীর সব চিকিৎসার খরচ বহন করছেন এবং ভবিষ্যতেও সেই দায়িত্ব পালন করবেন। এই কাজ তিনি কোনও প্রমাণের জন্য করছেন না, বরং এটি তাঁর নিজস্ব এক দায়বোধ। তাঁর কথায়, “স্ত্রীর রোগ ধরা পড়ার পর, একা হাতেই ছেলেকে মানুষ করেছি। ছেলে এবং আমার বর্তমান স্ত্রীর কিন্তু সুস্থ ভাবে বাঁচার অধিকার আছে। সবাইকে বলছি আমি খারাপ মানুষ, তাই এখনও প্রথম স্ত্রীয়ের যাবতীয় খরচ বহন করছি।”
মনোবীণার মানসিক সমস্যার প্রসঙ্গে কৌশিকের বক্তব্য ছিল, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর পরিবারে এই ধরনের সমস্যার ইতিহাস আছে। যদিও এই দাবি খানিকটা ভিন্নভাবে দেখেছেন মনোবীণার ভাই সৈকত মিত্র। তাঁর মতে, তাঁদের পরিবারের মধ্যে এমন কোনও স্পষ্ট ইতিহাস নেই। বরং তিনি জানান, কৌশিক ও মনোবীণার দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের পরে বিয়েটা হয়েছিল এবং কৌশিক সব জেনেই এই সিদ্ধান্ত নেন। সৈকতের কথায় বোঝা যায়, তিনি তাঁর দিদির বর্তমান অবস্থা নিয়ে বেশ আশ্বস্ত। তিনি বলেন, মনোবীণা এখন মানসিক রোগীদের এক আবাসনে রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ “রাতে ভোজ আছে, তাড়িয়ে তাড়িয়ে ভোজটা সারি!”— ‘ধ’র্ষণের রাজ্যে’, স্টার জলসার ‘লক্ষ্মী ঝাঁপি’ ধারাবাহিকের বিতর্কিত সংলাপ! যে বাংলায় প্রতিদিন ধ’র্ষণের খবর, সেই বাংলায় সিরিয়ালে এমন ইঙ্গিত কি নিছক বিনোদন? পর্দায় এমন সংলাপ কি অপরাধ নয়?
সেখানেও কৌশিকের নজরদারিতেই সব কিছু চলছে। কৌশিক জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রী কখনওই অবহেলিত হবেন না। নিজের চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ শুনলেও তিনি এসব নিয়ে উত্তরে রেগে যান না। বরং বললেন, “আমি যদি খারাপ মানুষই হই, তাহলে খারাপ মানুষ হয়েই আবার জন্মাতে চাই।” তাও তাঁর অতীত অধ্যায় বার বার আলোচনায় উঠে আসে। হয়তো তিনিও পুরোপুরি সরে আসতে চান না, কারণ তাঁর মতে অতীতকে পুরোপুরি ফেলে দেওয়া যায় না। শুধু সামনের দিকটা ভালোভাবে গড়ে তোলাটাই সবচেয়ে জরুরি। তাই অতীতকে সম্মান দিয়েই তিনি আজকের জীবনটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।