টেলিভিশন হোক কিংবা রুপালি পর্দা, অভিনেত্রী ‘পাপিয়া অধিকারী’র (Papiya Adhikari) নাম এক সময়ে মানেই ছিল শক্তিশালী অভিনয়ের নিশ্চয়তা। বাংলা থিয়েটার, যাত্রাপালা থেকে ধারাবাহিক—সব মাধ্যমেই সমান স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করেছেন তিনি। ‘দত্ত এন্ড বউমা’ ছিল ছোটপর্দায় তাঁর শেষ কাজ, এরপর কেটে গিয়েছে বেশ কিছু বছর। কোথাও আর দেখা যাচ্ছে না এই দাপুটে অভিনেত্রীকে। দর্শকের মনেও প্রশ্ন, হঠাৎ আলোর বৃত্ত থেকে সরে গেলেন কেন পাপিয়া?
এদিন অভিনেত্রী নিজেই জানালেন, অনুপস্থিতির কারণ আসলে ‘অডিশনের অভাব’ নয়, বরং প্রযোজক-পরিচালকদের অনীহা। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আমাকে কাস্ট না করা ওদেরই ক্ষতি, আমার কোনও আফসোস নেই।” পাপিয়ার মতে নির্মাতারা সাধারণত বেছে নেন এমন মুখ, যাঁদের দিয়ে সুবিধামতো চালানো যায়, তাই শক্তপোক্ত চরিত্রাভিনেতার চেয়ে তারা অল্প খরচে নতুন মুখ পছন্দ করেন।
আক্ষেপ নেই বললেন ঠিকই, তবু নাম যেন নামকেই স্মরণ করে। “কৌশিক (গঙ্গোপাধ্যায়) আমাকে শ্রদ্ধা করে, ছবি রিলিজের আগে পরামর্শও নিত,” স্মিত হেসে বলেন পাপিয়া। সৃজিত মুখোপাধ্যায়কেও বড় কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করলেন, “ও আমার কাজকে সম্মান করে, অথচ পর্দায় কেন ডাকে না জানি না!” আর শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে তাঁর খোঁচা, “হয়তো ভাবছে আমি কোনও ‘ভ্যালু’ দিই না, তাই ডাকছে না।”
নিজেকে “নাম করা অভিনেত্রী” আখ্যা দিয়ে পাপিয়া বলেন, হাত পেতে কাজ চাইতে তিনি কোনও দিনই যান না। “ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে কারও দরজায় দাঁড়ানো আমার ধাতে নেই,”—এমনই তাঁর আত্মসম্মান। তাই প্রস্তাব না এলে নিজেকে অন্য কাজে বুঁদ করে রাখছেন। রাজনীতির ময়দানে এখন বেশ সক্রিয় তিনি, বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের কাজেই দিন কেটে যায়।
আরও পড়ুনঃ শুভ-আদৃত একসঙ্গে, মোহনার মুখোশ খুলতে চলেছে এবার! ‘গৃহপ্রবেশ’ ধারাবাহিকে জমজমাট মোড়!
তবে কি পর্দা থেকে স্থায়ী বিদায় নিলেন তিনি? এক্ষনি স্থায়ী বিদায় নয়, এটুকু আশার বার্তা আশা দিলেন পাপিয়া। নতুন একটি ওয়েব প্রজেক্ট নিয়ে প্রাথমিক কথা এগিয়েছে, ফাইনাল হলে আবার দর্শকের সামনে ফিরবেন পাপিয়া অধিকারী। ব্যক্তিত্ব, স্পষ্টভাষা আর অভিজ্ঞতা—এই সংমিশ্রণে ভর করে তাঁর প্রত্যাবর্তন যে আলাদাই হবে, তা বলাই যায়। আপনারা কতটা উৎসাহী অভিনেত্রীকে আবার পর্দায় দেখতে?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।