“ইচ্ছা করে চুল সরিয়ে ক্লিভেজ দেখাচ্ছেন, নির্লজ্জ কোথাকার!” “বড় অভিনেত্রী হলেই, রুচিশীল হওয়া যায় না! রাজ্যপালের সামনে কিভাবে যেতে হয় সেইটুকু জ্ঞান নেই?” রাজভবনে রাজ্যপালের সামনে ঋতুপর্ণার অঙ্গভঙ্গিতে শুরু বিতর্ক! কটাক্ষবিদ্ধ অভিনেত্রী

গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক ভিন্ন ধারার ছবিতে নিজেকে নতুন করে তুলে ধরেছেন ‘ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত’ (Rituparna Sengupta)। কখনও ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’, কখনও ‘বেলা’, আবার কখনও ইন্দ্রাশিস আচার্যের পরিচালনায় ‘গুডবাই মাউন্টেন’। ইতিমধ্যেই ছবিগুলি মুক্তি পেয়ে দর্শকের মন জিতে নিয়েছে। নিজের অভিনয়ের জন্য বরাবর আলোচনায় থেকেছেন অভিনেত্রী। বিশেষ করে ‘গুডবাই মাউন্টেন’-এ ছবিতে তাঁর চরিত্র সবার পছন্দ হয়েছে।

গত শনিবার রাজভবনে আয়োজিত হয়েছিল এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনী। ছবিটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেরলের পাহাড়-জঙ্গলের আবহ ছবির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় তাঁর অনুভূতি আরও গভীর হয়ে ওঠে। প্রদর্শনীর পর তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলা আর কেরল— দুই-ই তাঁর আবেগের জায়গা, আর এই ছবিতে সেই যোগ আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। প্রত্যাশা থাকলেও, নিজের চোখে দেখার পর ছবির প্রতি তাঁর ভালোলাগা আরও বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

কিন্তু বিতর্ক শুরু হয়েছে অন্য জায়গায়। এদিন অনুষ্ঠানের কিছু টুকরো টুকরো মুহূর্ত সংবাদ মাধ্যমকে ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে সেগুলি সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। যা দেখার সঙ্গে সঙ্গেই সমাজ মাধ্যমে রীতিমত কটাক্ষের বন্যা বয়ে গেছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে। কিন্তু কী এমন করলেন তিনি? অনুষ্ঠানের দিন একেবারে বাঙালি সাজেই উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তসর সিল্ক শাড়ি, গলায় সোনালী গয়না, কপালে টিপ।

কিন্তু ব্লাউজের গভীরতা এবং অচল নেওয়ার ধরন অনেকেরই চোখে দৃষ্টিকটু লেগেছে। যেমন প্রকাশিত ভিডিওর একটি দৃশ্যে দেখা গেছে, রাজ্যপালের সঙ্গে নিচু হয়ে তিনি কিছু কথা বলছেন। সেই দৃশ্যে অভিনেত্রীর ক্লিভেজ মনে বক্ষখাঁজ স্পষ্ট, এবং তিনি নিজের চুল আর অচল এমন ভাবেই সরালেন যেন ইচ্ছে করেই সেটা প্রদর্শন করতে চাইছেন। এরপরেই কার্যত শুরু হয়েছে সমালোচনা। কেউ অভিনেত্রীকে সমর্থনও করে বলেছেন, দোষ ওনার না।

বরং যে ভিডিওটা করেছে তারই। এতকিছুর পরেও কটাক্ষের মাত্র যদিও বেশি। কেউ বলেছেন, “আপনি একজন জাতীয় স্তরের অভিনেত্রী। একজন সরকারি আধিকার সামনে কেমন পোশাকে যাওয়া উচিত সেটাই জানেন না!” অন্যজনের মতে, “বড় অভিনেত্রী হলেই, রুচিশীল হওয়া যায় না!” তবে সবথেকে বেশি যে কটাক্ষ নজর কেড়েছে, “ইচ্ছা করে চুলটা সরিয়ে ক্লিভেজটা দেখানোর কি খুব দরকার ছিল? নির্লজ্জ কোথাকার!”

আরও পড়ুনঃ “১৪ বছর আগেও চুপ ছিলাম, সব সহ্য করেছি”— শুভশ্রীর বিস্ফোরক মন্তব্যে ফের তোলপাড় টলিউড! কোন অতীত ঘটনার ইঙ্গিত দিলেন অভিনেত্রী? পালটা জবাবে দেব কি বললেন ?

“আপনার স্থান অনেক ওপরে ছিল, অনেক শ্রদ্ধা করতাম আপনাকে। কিন্তু এটা দেখার পর সেটাও হারালেন আপনি।”– এমনটাও বলেছেন অনেকে। সব মিলিয়ে অভিনেত্রী এখন ছবি বা চরিত্রের প্রশংসার থেকে বেশি চর্চায়, তাঁর পোশাক পছন্দ এবং এইরকম ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত আচরণের জন্য। আপনাদের কী মতামত অভিনেত্রীর এহেন পোশাক এবং তাঁকে ঘিরে তৈরি বিতর্ক নিয়ে?

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।