“কেউ এগিয়ে আসেনি” কলকাতাগামী চলন্ত ট্রেনে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল সারেগামাপা খ্যাত রাফার সঙ্গে! জানেন কি ঘটেছিল আসলে?

মালাদার ১৪ বছরের বিস্ময় বালিকা রাফা ইয়াসমিন। ২০১৯ সালে স্টার জলসার সুপার সিঙ্গার জুনিয়রের হাত ধরেই উত্থান হয়েছিল রাফার। পরে জাতীয় টেলিভিশনে রাফার সুরের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছেন শঙ্কর মহাদেবন এবং অনু মল্লিকের মতো শিল্পীরা। নিজের সুরেলা কন্ঠে জি টিভির সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসের মঞ্চ কাঁপিয়েছেন রাফা। শুধু বাংলাতেই নয়, বর্তমানে রাফার অনুরাগী ছড়িয়ে রয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। অথচ খোদ বাংলাতেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হলেন রাফা।

কি ঘটেছে রাফা ইয়াসমিন এবং তার পরিবারের সঙ্গে?*

বুধবার ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের কামরার সর্বস্ব খোয়ালেন এই বাঙালি গায়িকা। এমনকি তিনি দাবি করেছেন রেল পুলিশের কোনরকম সহায়তাই পাননি তিনি। মা বাবার সঙ্গে মালদা থেকে কলকাতায় আসছিলেন মালদার এই ১৪ বছর বয়সী গায়িকা। রাত ২টোর পর ঘুমিয়ে পড়ে তার পরিবার। ভোর ৬টার সময় ঘুম ভাঙ্গতেই মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ে। রাফার মা লক্ষ করেন তার মাথার কাছে রাখা হ্যান্ডব্যাগ গায়েব। সেই ব্যাগে বাড়ির চাবি থেকে শুরু করে এটিএম কার্ড, টাকা -পয়সা, ফোন এমনকি বেশ কয়েকটি জরুরি নথিপত্র ছিল।

প্রথম শ্রেনীর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় এমন এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো তাজ্জব রাফা এবং তার পরিবার। এই ঘটনাটি ঘটেছে ডাউন রাধিকাপুর- চিৎপুর গামী এক্সপ্রেস ট্রেনে। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ কর্তব্যরত টিটি বা আরপিএফের দেখা পায়নি গায়িকার পরিবার। তারপর বাধ্য হয়ে পরিচিত এক পুলিশকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পর নড়েচড়ে বসে জিআরপি। চিৎপুর স্টেশনে নেমে সংশ্লিষ্ট জিআরপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রাফার বাবা রাজ্জাক হোসেন।

ফেসবুক পোস্টে কি বলেছেন রাফা ইয়াসমিন

ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে সম্পূর্ণ ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন রাফা। গায়িকা জানিয়েছেন মঙ্গলবার মালদা টাউন স্টেশন থেকে গভীর রাতে ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলেন তারা তিনজন। এ ওয়ান শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় তাদের আসন ছিল ১৮, ৩৪, ৩৬। রাফার বাবা অভিযোগ করেছেন “এই ঘটনার পর রেলের এমার্জেন্সি নম্বর এবং রেল পুলিশেও ফোন করে পাইনি। তাদের কোনরকম কোন সহযোগিতা মেলেনি।”

আরও পড়ুন: প্রেম করে বিয়ে, এখন একরত্তি মেয়েকে নিয়ে সংসার! কৌশিক রায়ের সুন্দরী স্ত্রী ও মেয়েকে চেনেন?

দূরপাল্লার পুলিশের গাফিলতি, দাবি তুলেছেন রাফা ইয়াসমিনের মা

এই ঘটনাটি ফের একবার ট্রেনের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। রাফার মা তানিয়া হোসেনের দাবি “দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনে কোন নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এই ঘটনার পর আমরা রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। রেল পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।” দু’দিন আগেই উত্তরবঙ্গের ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তরতাজা। ভারতীয় রেলে জান-মাল নিরাপত্তা যেন অলীক স্বপ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিনে দিনে, এমনটাই দাবি করছেন নেটিজেনরা।