শ্রেয়া ঘোষালের কটক কনসার্টে বেসামাল ভিড়: ভয়ঙ্কর হুড়োহুড়িতে বিপ’জ্জ’নক পরিস্থিতি, কেউ জ্ঞান হারালেন, কারর লেগেছে চোট

প্রিয় গায়িকা শ্রেয়া ঘোষালকে সামনে থেকে এক ঝলক দেখার নেশা—ভক্তদের সেই আবেগই শেষ পর্যন্ত কটকে তৈরি করল এক ভয়ানক পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার বালি যাত্রা ময়দানে তাঁর প্রথম লাইভ কনসার্ট ঘিরে উপচে পড়েছিল জনসমুদ্র। শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, আবেগের চাপে নিরাপত্তা বলয় হয়তো টিকতে পারবে না। শ্রেয়া মঞ্চে পা রাখা মাত্রই হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে এগোতে থাকেন তাঁর দিকে। সতর্কবার্তা, কাকুতি-মিনতি—কিছুই যেন আটকে রাখতে পারেনি জনতার ঢেউ।

এই হুড়োহুড়ির মধ্যেই পরিস্থিতি দ্রুত হাতের বাইরে চলে যায়। সামনে দাঁড়ানো অনেকেই ধাক্কাধাক্কিতে তোলপাড় হয়ে পড়ে যান। কেউ হারান সামঞ্জস্য, কেউ চাপা পড়তে পড়তে সংজ্ঞা হারান। কয়েক মুহূর্তের জন্য আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা মাঠ। নিরাপত্তারক্ষীরা প্রাণপণে ভিড় সরানোর চেষ্টা চালান, কিন্তু মানুষের ঢেউ থামানো যায় না। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে হয় কনসার্ট।

জেলা প্রশাসন ও পুলিশ জানায়, শ্রেয়া ঘোষাল মঞ্চে পৌঁছতেই উত্তেজনায় নিয়ন্ত্রণহীন ভিড় মঞ্চের দিকে দৌড়ে আসে। ঠিক সেই সময়েই ঘটে দুর্ঘটনা—একজন পড়ে গিয়ে আহত হন, আর কয়েকজন চাপা পড়ে জ্ঞান হারান। দ্রুত তাঁদের বের করে আনা হয় এবং নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি সামলে নিলে অনুষ্ঠান পুনরায় শুরু করা সম্ভব হয়।

পুলিশ কমিশনার এস দেব দত্ত সিং জানিয়েছেন, “ভিড় ছিল সত্যিই বিপুল এবং ঠাসাঠাসি। কেউ গুরুতর আহত না হলেও একজনের সামান্য চোট লেগেছে। পরিস্থিতি আমরা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছি।” তাঁর কথায়, আতঙ্ক ছড়ালেও বড় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেয়নি পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ ‘আমি আর পারছি না!’, চাঞ্চল্যকর পোস্টে সোহিনী-শোভনের সংসার ভাঙনের ইঙ্গিত? এক বছর যেতে না যেতেই স্বামী-শ্বশুরবাড়ির ব্যবহারে সহ্যের বাঁধ ভাঙল অভিনেত্রীর! মাঝে রাতে নিজের বাড়ি ছেড়ে, অন্য টলি অভিনেত্রীর বাড়ি উঠলেন তিনি! ঠিক কী ঘটেছে?

অবশেষে স্থিতিশীলতা ফেরার পর মঞ্চে ফিরে আসেন শ্রেয়া। আর তিনি ফিরতেই শুরু হয় সুরের জাদু। ‘ডোলা রে ডোলা’, ‘চিকনি চামেলি’, ‘মনওয়া লাগে’, ‘মস্তানি হো গয়ি’—হিটের পর হিট পরিবেশনায় আবারও মাতিয়ে দেন ভক্তদের। কটকের মানুষের কাছে এ ছিল স্মরণীয় রাত—যার একদিকে ছিল সুরের মাদকতা, আর অন্যদিকে ভয় পাওয়া ভিড়ের তীব্র স্মৃতি।

You cannot copy content of this page