Dev-Sreelekha: “দেব সিনেমা করলেই নিজের প্রেমিকাকে নিচ্ছে, আমাকেও তো নিতে পারে”! বিনোদিনী চরিত্রে কেন রুক্মিণী, শ্রীলেখা কেন নয়? প্রশ্ন তুললেন নায়িকা

শ্রীলেখা মিত্র আরও একবার বিতর্কের জেরে হেডলাইন করে ফেললেন। আসলে বিতর্ক আর নাম যে একই সঙ্গে উচ্চারিত হয় তা আর আলাদা করে বলতে লাগে না।সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাক্ষণই নানা রকম পোষ্টের মাধ্যমে নিজস্ব মতামত এবং বক্তব্য পেশ করতে দেখা যায় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে।

Actress Sreelekha Mitra is in shock, after she heard the price of RTPCR  test | খরচ শুনেই আঁতকে উঠলেন, মাথায় হাত দিয়ে ভেনিসের রাস্তায় বসে  Sreelekha
কখনও বা নিজের চারপাশে ঘটে চলা নানা ঘটনা তার প্রতিবাদ, অথবা চারপেও প্রাণীদের হয়ে কথা বলা। বর্তমানে শাসকদলের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য। কিন্তু বাংলা সিনেমার ইন্ডাস্ট্রি নিয়েও একদম চুপ থাকেন না তিনি। বরাবরই বেশ ঠোঁটকাটা এই বিষয়ে।

সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাওয়ার সময় বাংলায় হওয়া নেপটিজম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। বাংলাতেও একের পর এক কাস্টিং এ তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গে বার বার তুলে এনেছেন প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণার কথা। একসময় নাকি প্রসেনজিৎ যেকোনও সিনেমায় সাইন করত একটি শর্তে যে তাতে ঋতুপর্ণাকে থাকতে হবে।

আর এই কারণেই এক প্রকার স্বজনপোষণের কারণে তাঁকে নাকি কোনও জায়গা দেওয়া হয়নি। আর এই নিয়ে তিনি এখনও বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ বার করতে থাকেন। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন কাস্টিং এর ক্ষেত্রে তিনি বলে থাকেন, তাঁকে নেওয়া হলে বেশি মানাতো। তবে এবার বলে বসলেন একেবারে দেবের প্রেমিকার কাস্টিং এর বিরুদ্ধে।

When will Dev marry Rukmini Maitra? | Bengali Movie News - Times of India
বাংলা বেশ বড় বাজেটের ও বড় কাস্টিং নিয়ে সিনেমা আসতে চলেছে, আর তাতেই রুক্মিণী মৈত্রকে দেখা যাচ্ছে বিনোদিনী চরিত্রে। কিছুদিন আগেই সেই চরিত্রের লুক প্রকাশ করা হয়েছে। আর তখনই শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, “এত রোগা কি বিনোদিনী ছিলেন”। আর ব্যস এরপর থেকেই বিতর্কের শুরু হয়।

প্রযোজক অরিত্র এই বিষয়ে অনেক মন্তব্যই করেছেন। বহু উদাহরণ টেনে বলেছেন, কাস্টিং এর সঙ্গে আসল চরিত্রের মিল থাকেনা। তাবলে সেগুলো কি সফল হয়নি! এই হলে তিনি দীনেন গুপ্তর ছবিতে দেবশ্রী রায় এবং গুলজারের ধারাবাহিক ‘তেরাহ পানহে’-তে হেমা মালিনীর উদাহরণ দিয়েছেন।

তবে এসব কটাক্ষের মাঝেও খুব স্পষ্ট করেই একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা মিত্র জানিয়েছেন যে, আজকাল ফেসবুকে যেন কিছুই লেখা যায় না। সমালোচনা ও অপমানের মধ্যে পার্থক্য ভুলে গিয়েছেন আজকালকার লোকেরা। পোস্টের নীচে রুক্মিণীকে শুভেচ্ছা বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি কিন্তু সেটা কেউ লক্ষ্য করেনি। বরং তিনি বলেছেন যে তাঁর মতে অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়কে বেশ ভালো মানিয়ে যেত।